নয়াাদিল্লি: দিল্লির সরাই রোহিল্লা (Delhi Goods Train Derailment) স্টেশনের জনবসতির কাছে বেলাইন মালগাড়ি। লাইনচ্যুত ১০টি বগি। ঘটনায় রেলকে নিশানা করে পোস্ট করল তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট, 'বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় ৩০০ জনের মৃত্যুর পরও শিক্ষা নেয়নি রেল। রেল দুর্ঘটনা এখন রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেল সফর এখন মৃত্যুফাঁদ।'
যা জানা গেল...
উত্তর দিল্লির জাখিরা উড়ালপুলের কাছে পটেল নগর-দয়াবস্তি সেকশনে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের বক্তব্য, 'ট্র্যাকের উপর যিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁর হতাহত হওয়ার আশঙ্কা এড়ানো যায় না।' রেল ও উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। মুম্বই থেকে চন্ডীগড় পর্যন্ত ইস্পাতের পাত 'রোল' করে নিয়ে যাচ্ছিল ওই মালবাহী গাড়িটি। একদিকে যখন, ট্রেনে এমন দুর্ঘটনা, অন্য দিকে তখনই আবার জওহরলাল স্টেডিয়ামে প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে। স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেটের কাছে ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ৮ জন জখম হন বলে খবর। ভেঙে পড়া প্যান্ডেলের নীচে বেশ কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন।
স্মরণে বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা...
এদিন দিল্লির সরাই রোহিলার কাছে যে ট্রেনটি বেলাইন হয় সেটি মালগাড়ি হলেও তা বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে। গত বছর জুন মাসে ওড়িশার ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি কামরা। মৃতের সংখ্যা পৌঁছে যায় ২৬১, খবর দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রের। ৬৫০ জন জখমকে উদ্ধার করে ওড়িশার গোপালপুর, ভদ্রক, সোরো, খান্তাপাড়া ও বালেশ্বরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায়, বিশাল যাত্রিবাহী দূরপাল্লার ট্রেনটা তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। ধাতব কামরাগুলো দেশলাই বাক্সের মতো দুমড়ে মুচড়ে একটার ওপর আরেকটা উঠে যায়। কামরার ভিতরে লোহার কাঠামো, সিট সব উপড়ে যায়। দরজা, জানলা আর আস্ত নেই। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছেন আহতরা। সব ছাপিয়ে অ্য়াম্বুল্য়ান্সের সাইরেনের শব্দ। দুর্ঘটনা সত্ত্বেও যাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন, তাঁদের গোটা পরিস্থিতি বিশ্বাস করতেও বেশ কিছুক্ষণ লেগে যায়। কোনওমতে বেরিয়ে এসে, ট্রেনের অবস্থা দেখে তাঁরা শিউড়ে ওঠেন। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, সংঘর্ষের পর বহু যাত্রী পাশের একটি খালে গিয়ে ছিটকে পড়েন।প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁরাই একে একে আহত যাত্রীদের বার করে আনতে শুরু করেন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় কাছের হাসপাতালে। চাদরে মুড়ে বার করা হয় পরপর মৃতদেহ।