নয়াদিল্লি: গত এক বছরে মহাকাশ অভিযানে একের পর এক সাফল্য এসেছে। এবার 'Naughty Boy'-এর উৎক্ষেপণ করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. শনিবার বিকেলে এই কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ হবে, যার বৈজ্ঞানিক নাম Meteorological Satellite INSAT-3DS. এটি আসলে আবহাওয়ার উপর নজরদারি চালানোর কৃত্রিম উপগ্রহ। Geosyncronus Launch Vehicle 14-এ (GSLV-F14) চাপিয়ে সেটিকে মহাকাশে পাঠাবে ISRO. (INSAT-3DS Mission)


শনিবার বিকেল ৫টা বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন স্পেস সেন্টার থেকে Meteorological Satellite INSAT-3DS কৃত্রিম উপগ্রহটির উৎক্ষেপণ হবে, যার ডাক নাম 'Naughty Boy'. সবমিলিয়ে এটি GSLV-F14-র ১৬তম অভিযান। আর দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনে ভর করে এটি তার দশম অভিযান হতে চলেছে। তাই শনিবার সকালেই অন্ধ্রপ্রদেশের মন্দিরে পুজো দিতে যান ISRO প্রধান এস সোমনাথ। (ISRO Meteorological Satellite)


INSAT-3DS কৃত্রিম উপগ্রহটির ওজন ২,২৭৪ কেজি। মহাকাশ অভিযানে তার আয়ু ১০ বছর. ২০১৩ সালে যে INSAT-3D এবং ২০১৬ সালে INSAT-3DR কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ করেছিল ISRO, তাদের জায়গায় এবার কাজ করবে INSAT-3DS. কারণ ওই দুই কৃত্রিম উপগ্রহের আয়ু শেষ হয়ে গিয়েছে। এই অভিযানের সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে কেন্দ্রীয় ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক। উৎক্ষেপণের ১৮ মিনিটের মধ্যেই সেটি পৃথিবীর ডিম্বাকার কক্ষপথে প্রবেশ করবে।



আরও পড়ুন: Nova-C Lander: একাকীত্ব ঘুচবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে রওনা Nova-C


GSLV-F14 রকেটে চাপিয়ে INSAT-3DS কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যে ১৫ বার GSLV-F14 রকেটকে  ব্যবহার করা হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র চারটিই সফল হয়নি। সেই নিরিখে ISRO-র Polar Satellite Launch Vehiclle (PSLV)-কে ব্যবহার করে ৬০টি অভিযান চালানো হয়, যার মধ্যে মাত্র তিনটিই সফল হয়নি। LVM-3 রকেট ব্যবহার করে মোট সাতটি অভিযান চালানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত যার সবক'টি সফল হয়েছে। তাই বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি  GSLV-F14. 


এই অভিযানের সাফল্যের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কারণ এর পর এ বছরের শেষে GSLV-F14 রকেটের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান রয়েছে। পৃথিবীর উপর নজরদারি চালানোর কৃত্রিম উপগ্রহ NISAR-কে নিয়ে মহাকাশে রওনা দেবে এই রকেট, যা আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এবং ISRO-এর একটি যৌথ অভিযান।



মাত্র ১২ দিনের মধ্যে গোটা পৃথিবীকে জরিপ করবে NISAR. পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রে কোথায়, কতখানি পরিবর্তন হয়েছে, বরফের পরিমাণ কত, সমুদ্রের জলস্তর কোন পর্যায়ে রয়েছে, ভূমিকম্প এবং সুনামি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে সেটি। স্থলভাগ এবং জলভাগ, দুইয়ের উপরই নজরদারি চালানো হবে। বজ্রবিদ্যুৎ, ঝড়-ঝাপটা, দাবানল, তুষারঝড়, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবেন।