মুম্বই : করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠছে উদ্ধব সরকারের। নিত্যদিন রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মাঝে নতুন অভিযোগে অস্বস্তি বাড়ল ঠাকরে সরকারের। জানা গিয়েছে, কেবল ভাসাইতেই ৭০০০ সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩০০০ রোগীর প্রতিদিন অক্সিজেনের প্রয়োজন। মৃতদের আত্মীয়দের অভিযোগ, অক্সিজেন না পেয়েই প্রাণ গেছে তাদের প্রিয়জনদের।


সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই নালা সোপারার বিনায়ক হাসপাতালের তেরতিয়ারি সেন্টারের রোগী। যদিও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের পাল্টা দাবি, যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের 'সিরিয়াস কোমরবিডিটি' বা অন্যান্য রোগ ছিল।ঘটনাচক্রে তাঁরা একই দিনে মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে অক্সিজেনের অভাবের কোনও বিষয় নেই।


ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন নালা সোপারার বিধায়ক খিতিজ ঠাকুর। তিনি বলেন, ''এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নজর দেওয়ার জন্য আবেদন করব। এমনিতেই ভাসাই অঞ্চলে অক্সিজেন সরবরাহের অবস্থা খুব খারাপ। যা অক্সিজেন পাঠানো হয় ,তা কেবল তিন ঘণ্টা চলে। এলাকায় অক্সিজেন সরবরাহের অভাবেই ইতিমধ্যেই তিনজনকে হারিয়েছি আমরা। অক্সিজেনের অভাবে যাতে আর কাউকে মরতে না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।'' বিষয়টি দেখার জন্য অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন খিতিজ ঠাকুর। মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা প্রবীণ দারেকর ও প্রাক্তন সাংসদ কিরীত সোমাইয়া। দারেকার বলেন, ''এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। মনে হচ্ছে, রাজ্য সরকারের মাথায় কেবল লকডাউন ঘুরছে। কেবল লকডাউনের চিন্তা করলেই হবে না। তার সঙ্গে অক্সিজেন বেড, আইসিইউ, ভেন্টিলেটরস, রেমডেসিভির-এর কথা ভাবতে হবে। নববর্ষের দিনে এটা কোনও শুভ ঘটনা নয়।''