চণ্ডীগড়: দেখতে আর পাঁচটা কলেজের মতই। কিন্তু চণ্ডীগড়ের ১০ নম্বর সেক্টরের ডিএভি কলেজ একটু আলাদা। এই কলেজ যোদ্ধাদের জন্ম দেয়। রিপোর্ট বলছে, ডিএভির বহু প্রাক্তন ছাত্র দেশের জন্য লড়েছেন। এই কলেজের ছাত্র ছিলেন দেশের জন্য লড়ে শহিদ হওয়া ১৩ জন যোদ্ধা। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা, মেজর সন্দীপ সাগর, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রাজীব সাঁধু, ক্যাপ্টেন বিজয়ন্ত থাপার- ভারতীয় সেনার রূপকথায় চলে যাওয়া একের পর এক নামকে বড় করে তুলেছে ডিএভি। রাজীব সাঁধু ১৯৮৮-তে শ্রীলঙ্কায় এলটিটিইর বিরুদ্ধে সংঘর্ষে শহিদ হন। বাকি তিনজন প্রয়াত হন কার্গিলে। এখনও পর্যন্ত এই কলেজের ১০০-র বেশি প্রাক্তন পড়ুয়া সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছেন। ডিএভি কলেজের এই ঐতিহ্য চলছে, চলবেও। এখন যে ছাত্ররা এখানে পড়েন, তাঁরাও ভবিষ্যতে তাঁদের পূর্বজদের অনুসরণ করতে চান। অধ্যক্ষ পবন শর্মা জানিয়েছেন, কলেজকে গর্বিত করা এই ছাত্রদের স্মৃতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অ্যাডমিন ব্লকের নাম রেখেছে শৌর্য ভবন। এতে একটি মিউজিয়াম রয়েছে, তাতে রয়েছে দেশের জন্য সামনের সারিতে থেকে লড়াই করা সব পড়ুয়াদের ছবি। কলেজ ক্যাম্পাসে তৈরি হচ্ছে ওয়ার মেমোরিয়াল। দেখে নিন, এই কলেজের শহিদ ছাত্রদের তালিকা ১. বিক্রম বাত্রা, পরমবীর চক্র ২. মেজর সন্দীপ সাগর, মহাবীর চক্র ৩. সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রাজীব সাঁধু, মহাবীর চক্র ৪. ক্যাপ্টেন বিজয়ন্ত থাপার, বীর চক্র ৫. স্কোয়াড্রন লিডার সিদ্ধার্থ বিশিষ্ট, এয়ার ফোর্স মেডেল ৬. লেফটেন্যান্ট অনিল যাদব ৭. মেজর নবনীত ভৎস, সেনা মেডেল ৮. ক্যাপ্টেন রোহিত কৌশল, সেনা মেডেল ৯. ক্যাপ্টেন অতুল শর্মা ১০. ব্রিগেডিয়ার বলবিন্দর সিংহ শেরগিল ১১. ক্যাপ্টেন রিপুদমন সিংহ ১২. মেজর মালবিন্দর সিংহ ১৩. ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট গুরসিমরত সিংহ ঢিন্ডসা