নয়া দিল্লি : ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত সুখবর। অথবা বলা ভালো সেইসব ভারতীয়র জন্য ভাল খবর যাঁরা কোনও কারণে ইউরোপে যেতে চাইছেন। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে এবার ছাড়পত্র দিল ফ্রান্সও। শনিবার ফ্রান্সের তরফে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপের মোট ১৬টি দেশে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দিব্যি যাওয়া যাবে। তা সে কাজ, পড়াশোনা বা ঘুরতে যাওয়া, যা-ই হোক।


সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, 'পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। কারণ, ইউরোপের ১৬টি দেশ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। এই ভ্য়াকসিন নেওয়া মানুষদের তাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। যদিও প্রতিটা দেশেরই কোভিড বিধির কম-বেশি পার্থক্য থাকতে পারে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ইউরোপের ওইসব নির্দিষ্ট দেশের কোভিড বিধি মেনে চললেই সেদেশে ঢুকতে বাধা নেই পর্যটকদের। অতিমারির সময়ে ভারতীয় হিসেবে এটা গর্ব করার মতো।'


এক ঝলকে দেখে নিন ইউরোপের ১৬টি দেশ ছাড়াও বিশ্বের আর কোন কোন দেশে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া যাবে। এই দেশগুলি হল- ফ্রান্স, জার্মানি, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, এস্তোনিয়া, স্পেন, আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, আফগানিস্তান, অ্যান্টিগা, আর্জেন্টিনা, বাহরিন, বাংলাদেশ, বার্বাডোজ, ভুটান, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, আইভরি কোস্ট, ডমিনিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ঘানা, হাঙ্গেরি, জামাইকা, লেবানন, মলদ্বীপ, মরক্কো, নামিবিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, সেন্ট কিটস, সলোমন আইল্যান্ড, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এবং ইউক্রেন। 


সম্প্রতি জানানো হয় যে কোনও দেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশে যেতে একটি গ্রিন পাস লাগবে। জুলাই মাস থেকে এই নিয়ম লাগু হবে তাও বলা হয়। একইসঙ্গে দেওয়া হয় ভ্যাকসিনের তালিকাও। যে ৪ ভ্যাকসিনের তালিকা দেওয়া হয়, তাতে ছিল না কোভিশিল্ডের নাম। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। শুরু হয় কেন্দ্রের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার আবেদন জানায়। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, ওই তালিকায় কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে অন্তর্ভুক্ত না করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের ভারতে এলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। চাপের মুখে পড়ে কোভিশিল্ড গ্রহীতাদের তাদের দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেয় ইউরোপের একাধিক দেশ। এবার সেই তালিকায় জুড়ল ফ্রান্সের নাম।