অনন্তপুরম: নাম এম শ্রাবণী। বয়স ১৬। অন্ধ্রের অনন্তপুরম জেলায় রবিবার ১ দিনের জন্য কালেক্টর হয় সে। প্রথম কাজ হিসেবে এক নির্যাতিতা কিশোরীর জন্য তফশিলি জাতি/উপজাতি আইনের আওতায় সে বরাদ্দ করে ২৫,০০০ টাকা।


এরপর সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলা একটি সরকারি কনফারেন্সে মহিলা অফিসারদের যোগ দিতে হবে না বলে নির্দেশ পাশ করে। তারপর এলাকা ঘুরে দেখতে বার হয় শ্রাবণী, জল জমে নষ্ট হয়ে যাওয়া রাস্তাঘাট দ্রুত সারানোর নির্দেশ দেয়। এছাড়া স্থানীয় পুরসভার বালিকা বিদ্যালয়ে জগনান্না বিদ্যাকণিকা ফ্রি স্কুল কিট বিতরণের কাজ খতিয়ে দেখে।

আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষ্যে একদিনের জন্য কালেক্টরের দায়িত্ব সামলিয়েছে শ্রাবণী। সেদিন কালেক্টর, জয়েন্ট, সাব কালেক্টর, মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ও তেহসিলদারের মত রায়লসীমা জেলার ৫২৭টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে বসানো হয় স্থানীয় স্কুলগুলির ছাত্রীদের। কালেক্টর গন্ধম চন্দ্রুড়ু বালিকা ভবিষ্যথু প্রকল্পে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে আসা ছাত্রীদের প্রশাসনিক কাজে উৎসাহ দেওয়া ও পড়াশোনার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস আনার জন্য এই পদক্ষেপ করেন। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীদের বাছাই করা হয়, তারপর নির্দিষ্ট দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।

শ্রাবণী পড়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে, কস্তুরবা গাঁধী বালিকা বিদ্যালয়ে, তার বাবা প্রান্তিক চাষী। বি মনুশ্রী নামে আর এক ছাত্রী সামলিয়েছে জয়েন্ট কালেক্টরের পদ, তার বাবা মেকানিক।

এত বড় পদ সামলে আমরা দারুণ উত্তেজিত, এই দিনটা জীবনে ভুলব না। দুই ছাত্রী এক বাক্যে জানিয়েছে।