নয়াদিল্লি: রীতিমতো অভাবী বাড়ির এক কিশোরীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হঠাৎ করে জমা পড়লো প্রায় ১০ কোটি টাকা। এটা জানার পর হতভম্ব ওই কিশোরী এবং তার পরিবার। ঘাবড়ে গিয়ে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার রুকুরপুরা গ্রামে।
জানা যাচ্ছে, সরোজ নামে ১৬ বছরের ওই কিশোরী গত দু’বছর আগে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিল বাঁশডিহতে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে। আর সম্প্রতি ওই অ্যাকাউন্টেই জমা পড়েছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৭৩৬ টাকা। জানতে পেরেই সে আকাশ থেকে পড়ে। গত সোমবার ওই সে তার বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্কের শাখায় যায়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে এমন ঘটনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানায়।

ওই নিরক্ষর কিশোরীর বাড়িতে মারাত্মক অভাব। তার বাবা আমদাবাদের একটি গ্যারেজে কাজ করেন। আর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এমন ঘটনা জানানোর পর তাদের বক্তব্য, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে এর আগেও একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। তবে এই লেনদেনের বিষয়ে কোনও কিছু জানা ছিল না সরোজের। আর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সরোজের সমস্ত বক্তব্য শোনার পর আপাতত ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে।
কিন্তু কিভাবে ওই অ্যাকাউন্টে এত টাকা এল এবং এর আগেও কারা ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করত, তা নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে সরোজ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কানপুরের দেহাত জেলার নীলেশ নামে এক যুবক তার থেকে আধার কার্ড, ছবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ইত্যাদি নিয়েছিলেন, এমনকি ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের এটিএম কার্ড ও পিন রয়েছে ওই যুবকের কাছে।

পুলিশ এ ঘটনা জানার পরই ওই যুবকের ওপর সন্দেহ তৈরি হয়। যদিও তার সঙ্গে ফোনে পুলিশ যোগাযোগ করতে পারেনি, তার ফোন বন্ধ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাঁশডিহ থানার আইসি রাকেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর অ্যাকাউন্টে কিভাবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হল তা খতিয়ে দেখবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।