মুম্বই: ড্রাগ-তদন্তে শনিবার এনসিবির মুখোমুখি হবেন দীপিকা পাড়ুকোন। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী রণবীর সিংহের সঙ্গে গোয়া থেকে মুম্বই ফেরেন তিনি। এখন সেদিকেই নজর গোটা দেশের। মস্তানির মুখ থেকে কোন রহস্য বার হয়, তার অপেক্ষায় সবাই।


এদিনই গোয়া থেকে মুম্বই ফেরেন সারা আলি খান। হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই আসেন রকুলপ্রীত সিংও। তিনজনকেই সমন পাঠিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শনিবার সারা, দীপিকা ও শ্রদ্ধা কপূর- তিনজনেরই এনসিবির  সামনে হাজিরা দেবেন।

ড্রাগ-তদন্তে দীপিকার নাম উঠে আসে ২০১৭ সালের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে। এনসিবি সূত্রে দাবি, হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট অনুযায়ী, দীপিকা তাঁর ম্যানেজার করিশমাকে প্রশ্ন করেন, তোমার কাছে মাল আছে? করিশমা জবাব দেন, হ্যাঁ, বাড়িতে আছে। তবে আমি বান্দ্রায়। যদি রাজি থাক তাহলে অমিতের সঙ্গে কথা বলতে পারি। উত্তরে দীপিকা লেখেন, হ্যাঁ, প্লিজ বল। মিনিট চারেক বাদে করিশমার উত্তর, অমিতের কাছে আছে। তখন দীপিকা জানতে চান, ওর কাছে হ্যাশ আছে তো? উইড নয় কিন্তু। কিছুক্ষণ বাদে করিশমা লেখেন, তুমি কোকোর কাছে কখন আসছ? দীপিকা বলেন, সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে।

আর এই প্রেক্ষাপটে অভিনেত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী নাগমার প্রশ্ন,  হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে অভিনেত্রীদের ডাকা হচ্ছে। কিন্তু যে কঙ্গনা রানাওয়াত নিজে প্রকাশ্যে ড্রাগ আসক্তির কথা স্বীকার করেছেন, তাঁকে কেন ডাকছে না এনসিবি? তাদের কাজ কি প্রয়োজনমতো তথ্য ফাঁস করে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের হেনস্থা করা?

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের হামলার অভিযোগ ওঠার পর, সেখানে গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দীপিকা। তখন বিজেপির জনৈক নেতা দীপিকার ছবি বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন, আবার বিজেপির হেভিওয়েট নেতা গোপাল ভার্গব বলেছিলেন, নায়িকার তো মুম্বইতে নাচা উচিত, জেএনইউ-তে যাওয়ার কী দরকার?

এর আগে ২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেছিলেন, আমি রাজনীতি বেশি বুঝি না। তবে টিভিতে দেখে যেটুকু বুঝেছি, রাহুল গাঁধী নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছেন। আশা করি একদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। এরপর দীপিকাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান? উত্তরে দীপিকা বলেন, নিশ্চয়ই। আমি মনে করি, তরুণদের সঙ্গে তিনি সহজেই মিশে যেতে পারেন। তাঁর ভাবনা চিন্তা প্রথাগত, তবে তিনি কাজ করেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে।

আর দীপিকার মুখে রাহুলের প্রশংসা শুনে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য স্মৃতি ইরানি!

এবার ড্রাগ তদন্তে সবার প্রথম বলিউডের হেভিওয়েটদের মধ্যে সেই দীপিকাকেই ডাকল কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনসিবি!

যদিও বিজেপির দাবি, তদন্তের স্বার্থেই এ সব হচ্ছে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।