মুম্বই : তওতে ইস্যুতে সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগের পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের। ঘূর্ণিঝড় তওতে-র ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তিনি বিশেষ কিছু করেননি। বিজেপির তোলা এই অভিযোগের জবাব দিলেন উদ্ধব। বললেন, আমি অন্তত হেলিকপ্টারে চেপে আকাশপথে পরিদর্শন করিনি, মাটিতে থেকে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছি।


ঘূর্ণিঝড় তওতে। যাকে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় আখ্যা দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও গোয়া অতিক্রম করার পর গত সোমবার গুজরাতে আছড়ে পড়ে। পাাঁচ রাজ্যে তওতে-র প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গুজরাতের ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই রাজ্যের ভাবনগরে মারা গিয়েছেন পাঁচজন। বাকিরা আমরেলি সহ আরও ৮ জেলার বাসিন্দা। গুজরাতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৫ কিমি। বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ে, ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। আকাশপথে সেইসব এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।


এদিকে ক্ষয়ক্ষতির বাস্তব চিত্রটা কীরকম তা জানার জন্য শুক্রবার মহারাষ্ট্রের কঙ্কনের রত্নাগিরি ও সিন্ধুদুর্গ জেলা পরিদর্শন করেন উদ্ধব ঠাকরে। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর তিনি প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, শস্যের ক্ষতির পরিমাণ কত তা দুইদিনের মধ্যে জানতে। 


যদিও রাজ্যের বিজেপি নেতারা তাঁর পরিদর্শনের সময় নিয়ে উদ্ধবকে খোঁচা দেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্র বিজেপির নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন, মাত্র তিন ঘণ্টার কঙ্কন পরিদর্শনে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন ঠাকরে। বিধান পরিষদের বিরোধী নেতা প্রবীণ দারেকার জানতে চেয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মাত্র তিন ঘণ্টার পরিদর্শনে কী করে বুঝতে পারলেন মুখ্যমন্ত্রী! 


বিজেপির এই সমালোচনার জবাব দেন উদ্ধব। এনিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার চার ঘণ্টার পরিদর্শন ঠিক আছে। আমি অন্ততপক্ষে মাটিতে থেকে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছি। ফটো সেসনের জন্য হেলিকপ্টারে চড়িনি। আমি নিজেই একজন ফটোগ্রাফার। তাছাড়া আমি এখানে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে আসিনি। প্রসঙ্গত, সিন্ধুদুর্গের মালভানে কথাগুলি বলেন তিনি।