নয়াদিল্লি: দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সভায় অংশগ্রহণকারী ১৯ জনকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে যারা ধরা পড়েছে, তাদের ৭ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৯ জন তাইল্যান্ডের। এরা ছাড়াও শহর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর, যিনিও তবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে নিযুক্ত প্রফেসর মহম্মদ শাহিদের বিরুদ্ধে জামাতিদের থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে শহরে জামাতিদের গোপনে থাকতে দেওয়ায় ১২জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কারেলি, শাহগঞ্জ, শিবকুঠি-তিনটি থানা এলাকা থেকে মোট ৩০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরের দুটি মসজিদে বেআইনিভাবে বসবাস করছিল ধৃত জামাতিরা।
তবলিগি জামাতের সভায় যোগদানকারীদের একজন ইন্দোনেশিয়ার লোক। সে নোভেল করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। প্রয়াগরাজের কোভিড হাসপাতালে চিকিত্সার পর দুদিন আগে ছাড়া পায় সে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে কোয়ারেন্টিন করে রাখা ৬৬ বিদেশি জামাত সদস্যকে আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশক্রমে অস্থায়ী জেলে সরানো হবে। এদের ৫৪ জনকে পাঠানো হবে নাবালকদের নির্দিষ্ট সংশোধনাগারে, বাকি ১২ জনের ঠাঁই হবে তিবিয়া দেওবন্দে। রাজ্যের নানা জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকা সন্দেহভাজন জামাতিদের ব্য়াপারে খবর দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গতকালই ঘোষণা করেছে কানপুর পুলিশ।