নাগপুর: ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত কি না, তাই নিয়ে এখনও দ্বিধাবিভক্ত দেশ। তেলঙ্গানা গণধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যুর ঘটনায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন অনেক ভারতীয়ই। আবার অভিযুক্তদের মানবাধিকারের পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন বহুজন। নির্ভয়াকাণ্ডে ফাঁসির দিন ঘোষণার পরও বারবার আইনি পথে মৃত্যুদণ্ডের সাজা মকুবের আবেদন জানিয়ে যাচ্ছে দোষীরা। অন্যদিকে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহর মন্তব্য নিয়েও জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে এই জাতীয় ঘৃণ্য অপরাধ আটকানো কতটা কঠিন।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এবার ধর্ষিত ১৯ বছরের এক তরুণী। ঘটনায় গোণ্ডিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়কে। জানা গেছে, এই তরুণী যে স্পিনিং মিলে কর্মরত ছিলেন, সেখানেই সুপারভাইজার ছিল ওই অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণী, তাঁর দাদা, অভিযুক্ত ও আরেকজন মহিলা একসঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। অভিযোগ, রাতে একা পেয়ে মেয়েটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই প্রৌঢ়। বাধা দিতে গেলে তাঁর মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অজ্ঞান হয়ে পড়েন তরুণী। তখনই তাঁর যৌনাঙ্গে একটি রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তরুণী।
পরে নিগৃহীতা তাঁর ভাইকে ঘটনাটি জানান ও পারডি পুলিশ থানায় অভিযোগ করেন।