নয়াদিল্লি: অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে কেরলে পৌঁছে গিয়েছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। শনিবার ১১৮ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেন নিয়ে কেরলে পৌঁছল অক্সিজেন এক্সপ্রেস। এর আগে আরও রাজ্যে অক্সিজেন পৌঁছলেও কেরলে এই প্রথম। শনিবার সন্ধের দিকে টুইট করে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। লিখেছিলেন, অক্সিজেন এক্সপ্রেস পৌঁছনোর পথে।
জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে মোট ৫০০টি ট্যাঙ্কারে ৭৯০০ মেট্রিকটন লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন পাঠিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে।
সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বাড়ছে মৃত্যু। সংকটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুত রাখতে তৎপর একাধিক রাজ্য। অক্সিজেনের অভাবে করোনা আক্রান্তের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর প্রায়ই সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের জোগান দিতে সাহায্যের হাত বাড়ায় রেল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
ট্যুইটারে রেলমন্ত্রী জানান, "করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও খামিত রাখবে না রেল। রোগীদের কাছে প্রচুর পরিমাণে এবং দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দিতে আমরা গ্রিন করিডর করে অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন চালাব।" জানানো হয়, এই ট্রেনগুলতে লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন(এলএমও) এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহন করা হবে। সেই মতোই শুরু হয় কাজ। ইতিমধ্যেই দিল্লি, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশে পৌঁছে গিয়েছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। চলতি মাসেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (ডিএসপি) থেকে ছটি কন্টেনারে ১২০টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন পাঠানো হয় দিল্লিতে।
অক্সিজেন এক্সপ্রেস গিয়েছে মহারাষ্ট্রেও। ২৪ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের উদ্দেশেই প্রথম যাত্রা শুরু করে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। বিশাখাপত্তনম থেকে ৭টি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। পরদিন সন্ধেয় নাগপুরে পৌঁছয় ট্রেনটি। ৭টির মধ্যে ৩টি ট্যাঙ্কার নাগপুরে নামানো হয়। বাকি ট্যাঙ্কারগুলি নিয়ে ট্রেনটি নাসিক হয়ে মুম্বই রওনা দেয়।
একটি বিবৃতি দিয়ে রেল জানায়, বর্তমানে অক্সিজেন সঙ্কট কাটাতে গ্রিন করিডর করে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে ভারতীয় রেল।