বেঙ্গালুরু : কর্ণাটকে রাজ্য সরকারের চিন্তা বাড়ালেন ৩০০০ কোভিড রোগী। ফোন সুইচ অফ করে বাড়ি ছেড়েছেন তাঁরা। খোদ এই খবর জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। যার ফলে নতুন করে সংক্রমণের চিন্তা বাড়ছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। 


কেন চিন্তায় কর্ণাটক সরকার ?


নানা নিষেধাজ্ঞার পরও বাগে আসেনি পরিস্থিতি। উল্টে রাজ্যে বেড়েই চলছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এবার কর্ণাটক সরকারের চিন্তা বাড়িয়েছেন ৩০০০ করোনা আক্রান্ত। এ প্রসঙ্গে কর্ণাটকের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোকা বলেন, '' ২০০০-৩০০০ জন কোভিড আক্রান্ত তাঁদের ফোন সুইচ অফ করে রেখেছেন। বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তাঁরা। এদের থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। পরবর্তীকালে এদেরই আইসিইউ বেডের জন্য ছোটাছুটি করতে হবে। পুলিশ এই বিশাল সংখ্যক কোভিড আক্রান্তদের খুঁজছে।''


আগেও ঘটেছে একই ধরনের ঘটনা


রোগী নিখোঁজ প্রসঙ্গে কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর বলেন, ''কোভিড মহামারী শুরুর থেকেই এই ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বেঙ্গালুরু। প্রায় ২০ শতাংশ কোভিড রোগীই সরকারের ফোন ধরে না। যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। পরে অনেক সময় পুলিশ এদের শনাক্ত করে। যদিও আক্রান্তদের মধ্যে কিছু রোগী ততক্ষণে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন। নিজের সঙ্গে সেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণকেও নিয়ে যান তাঁরা।''


২০জনের টার্গেট, খোঁজা হয় ৪ জনকে 


বেঙ্গালুরুর গত এক বছরের কোভিড পরিসংখ্যান বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ফোন তোলেন না রোগীরা। সেই কারণে কোভিড রোগী খুঁজতে আরও তৎপর হয়েছে কর্ণাটকের সরকার। সরকারি নিয়ম অনুসারে, কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির সান্নিধ্যে এসেছেন এরকম ২০ জনের ট্রেস রাখতে হয় প্রশাসনকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কেবল চারজনকে খুঁজেই ক্ষান্ত হয় প্রশাসন। এখন আর সেই পথে হাঁটছে না রাজ্য সরকার। সংক্রমণ এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পুলিশ প্রশাসন। 


কর্ণাটকের করোনা পরিস্থিতি


গত ২৪ ঘণ্টায় কর্ণাটকে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯,০৪৭ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২২৯ জনের। যার ফলে দক্ষিণের রাজ্যে সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩,২৮,৮৮৪ জন। রাজ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫,০৩৬ জনের। রাজ্যে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে।৩৯,০৪৭ জন কোভিড আক্রান্তের মধ্যে বেঙ্গালুরুতেই আক্রান্তের সংখ্যা ২২,৫৯৬ জন। ২২৯ জনের মধ্যে বেঙ্গালু্রুতেই মারা গিয়েছেন ১৩জন।