মালদা : সত্যবালা মণ্ডল। ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি নাকি আর বেঁচে নেই ! মারা গিয়েছেন ! অগত্যা ভোটার, আধার কার্ড নিয়ে বিডিও অফিসে ছুটলেন 'মৃত' সত্যবালা মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচকের সিংহপাড়ায়। আজ শেষদফায় মালদার মানিচক বিধানসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ চলছে। সেখানকারই ভোটার এই মণ্ডল পরিবার। 


মানিকচকের সত্যবালা মণ্ডল। এদিন ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন, ভোটার লিস্টে তিনি মৃত। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মানিকচক শিক্ষা নিকেতনের ১১২ নম্বর বুথে ভোট দিতে আসেন বছর পঞ্চাশের মহিলা। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়ে দেন, তিনি ভোট দিতে পারবেন না। 


ভোটার তালিকায় সত্যবালা মণ্ডলের নামের পাশে লেখা ডিলিট অর্থাৎ কাগজে কলমে তিনি মৃত। এরপর বিডিও অফিসে ছোটেন মহিলা। সেখানে ভুল স্বীকার করা হলেও, জানিয়ে দেওয়া হয় এখন সংশোধনের উপায় নেই। মহিলার দাবি, মাস চারেক আগে তাঁর বাবা মারা যান। বাবার পরিবর্তে ভোটার লিস্টে মেয়ের নাম মৃত হিসেবে রয়েছে। ঘটনায় স্বাভাবিকভভাবেই ক্ষুব্ধ সত্যবালা মণ্ডল এবং তাঁর পরিবার। মা-এর সঙ্গে এ হেন ঘটনায় ঘটায় কমিশনের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সত্যবালা মণ্ডলের ছেলেও। 


আজ শেষ দফার ভোট গ্রহণ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়াকড়িও সমান মাত্রায়। আজ অষ্টম দফায় ভোটগ্রহণ মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও কলকাতার মোট ৩৫ আসনে। অষ্টম দফার ভোটে মোতায়েন রয়েছে ৬৪১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কলকাতায় ভোটে মোতায়েন ৯৫ কোম্পানি বাহিনী। বীরভূমে ২২৪ কোম্পানি এবং মুর্শিদাবাদে ২১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মালদায় ১১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। উল্লেখ্য, মানিকচক, মালদা, ইংলিশ বাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর-সহ মালদায় আজ ৬টি আসনে ভোট গ্রহণ। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই সেখানে ভোটগ্রহণ চলছে। 


উল্লেখ্য, আজ মালদার ১৭০ নম্বর বুথে করোনা সংক্রমিত আশাকর্মী ভোটের কাজে নিযুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে। জোর করে ডিউটিতে পাঠিয়েছেন বিডিও এমনটাই অভিযোগ করছেন আশাকর্মীর। যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও।