নয়াদিল্লি: ২৪ ঘণ্টা টানা সংঘর্ষের পর জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir 2 Terrorist Died) রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গেল ২ পাকিস্তানি জঙ্গি (Pakistani Terrorists Death)। তার আগে, গত কাল, রাজৌরি (Rajouri) জেলার কালাকোট জঙ্গলে, সেনাবাহিনীর ৪ সদস্যের মৃত্যু হয়। এক জন সেনা আধিকারিকের মৃত্যু হয় আজ। তার পরই ২ পাকিস্তানি জঙ্গির মৃত্যুর খবর।
কী জানা গেল?
সেনা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গিদের একজনের নাম 'কারি'। পাকিস্তানের বাসিন্দা 'কারি'লস্কর-ই-তইবার উচ্চপদস্থ নেতা। সেনাবাহিনীর কাছে যা খবর, তাতে ওই যুবককে রাজৌরি জেলার নির্দিষ্ট এলাকায় সন্ত্রাসবাদে নতুন করে অক্সিজেন জোগাতেই পাঠানো হয়েছিল। আইইডি বিশেষজ্ঞ 'কারি' গুহায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় নাশকতামূলক কার্যকলাপ দিব্যি চালিয়ে যেতে পারত সে। স্নাইপার হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষ ছিল সে। জম্মুতে সেনার ডিফেন্স পাবলিক রিলেশনস অফিসার বলেন, 'পাকিস্তান এবং আফগান ফ্রন্টে প্রশিক্ষিত ছিল সে। লস্করের উচ্চপদস্থ নেতা ছিল কারি।' বছরখানেক ধরেই রাজৌরি এলাকায় নিজের দলবল সমেত কাজকর্ম করছিল লস্কর নেতা। সেনার ধারণা, ডাংরি এবং কানডি হামলার নেপথ্যে সে-ই ছিল মাস্টারমাইন্ড।
এদিনের অপারেশন শুরু হয়েছিল বুধবার ভোরে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাজিমল গ্রামের এক বাসিন্দা জঙ্গিদের খাবার দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করা হয়। ঘটনাটি স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে জানান গ্রামবাসীরা। তার পরই বিশাল সন্ত্রাসদমন অভিযান শুরু হয়।
যা ঘটল...
বন্ধুর ভূ-প্রকৃতি এবং ঘন জঙ্গলের সাহায্য় নিয়ে সেনাবাহিনীর উপর দেদার গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাতে গত কাল ৪ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়। আজ আরও এক জন মারা যান। রাতভর এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এর জন্য আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয়। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দুজন জঙ্গিই এর নেপথ্য়ে রয়েছেন। কিন্তু এখনও অভিযান শেষ হয়নি। যার পর নিরাপত্তাবাহিনীর ধারণা, আরও বেশি সংখ্যক জঙ্গি এর সঙ্গে যুক্ত। গত সেপ্টেম্বরে, অনন্তনাগ জেলার গারোল গ্রামে জঙ্গিদমনে যৌথ অভিযান শুরু করেছিল সেনা ও পুলিশ। সেই সঙ্গে প্রাণ হারান দুই সেনা অফিসার ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা। কর্নেল মনপ্রীত সিংহ ও মেজর আশিস ধোনাক, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই দুই সদস্য প্রাণ হারান তাতে। মারা যান পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাটও। তিন জনের সাহায্যার্থে বিপুল 'রিইনফোর্সমেন্ট' পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তুমুল গুলির লড়াইয়ের মাঝ থেকে তাঁদের উদ্ধার করা যায়নি। হামলার দায়স্বীকার করে 'লস্কর-ই-তইবা'-র শাখা গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এতেই থামেনি মৃত্যুমিছিল। পরে তা আরও বাড়ে।
সেই তালিকায় সংযোজন বুধবারের ৪ ও বৃহস্পতিবার ১ সেনা আধিকারিকের মৃত্যু।
আরও পড়ুন:'আমলকি, ভৃঙ্গরাজ ও মেথি', নিজের ঘন-কালো চুলের 'সিক্রেট' ফাঁস শাহরুখের