রুমা পাল, কলকাতা: কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। তাই আর দেরি না করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Poll Commissioner Selection) ২ শূন্য পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশনার বাছাই সেরে ফেলল সরকার, জানালেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমার, এই দুই আমলাকে শূন্য পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন তিনি। তবে যে ভাবে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া হয়েছে, তাতে যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধীর।


কী বললেন?
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে ২ জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অরুণ গোয়েল। এর আগে ২০২০ সালে নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দেন অশোক লাভাসা। ফলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দুটি পদই খালি ছিল। লোকসভা ভোটের মুখে, স্রেফ প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের উপর নির্ভর করে পুরো ব্যবস্থাপনা ও তদারকির বিষয়টি নিয়ে চর্চ্চা শুরু হতেই এই নিয়োগের বিষয়টিতে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার।







যদিও যে ভাবে এই নির্বাচন হয়েছে, তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর কথায়, 'গত কাল রাতে আমাকে ২১২টি নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। আমি একটি বাছাই করা তালিকা চেয়েছিলাম যাতে ভাল করে বিশ্লেষণ করতে পারি। কিন্তু সেই সুযোগ পাইনি। মাঝরাতে দিল্লি পৌঁছেছি, আজ দুপুরে বৈঠক।' তাঁর প্রশ্ন, এত অল্প সময়ের মধ্যে ২১২টি নাম কী ভাবে খতিয়ে দেখা সম্ভব? তিনি আরও জানান, বৈঠকের মাত্র ১০ মিনিট আগে তাঁকে ৬টি নামের তালিকা দেওয়া হয়। 


অধীরের বক্তব্য...
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, এতদসত্ত্বেও তাঁর পক্ষে যতটা হস্তক্ষেপ করা সম্ভব ছিল, করেছিলেন। যে পদ্ধতিতে এই নামদুটি বাছাই করা হয়েছে তাতে প্রশ্ন তুলে একটি 'ডিসেন্ট নোট'-ও দিয়ে যান। একই সঙ্গে, এই সিলেকশন কমিটিতে প্রধান বিচারপতির না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর। যে আইনের বলে কেন্দ্র এই ব্যবস্থা করেছে, তার সমালোচনা করে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, 'ভারতের প্রধান বিচারপতির এই কমিটিতে থাকা দরকার ছিল।....সরকারই এই প্যানেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা যা চায়, তাই হচ্ছে।'


আরও পড়ুন:‘BJP রাখতে পারল না’, বলেছিলেন সেবার, ২২ মাসেই ফের পদ্মমুখী অর্জুন, ব্রিগেডেই মন পরিবর্তন