নয়াদিল্লি: অসমের ইতিহাসে এই প্রথম। মহিলা অর্থমন্ত্রী পেল রাজ্য। তিনি ৫ বারের বিধায়ক। এবার তাঁর উপরেই রাজ্যের অর্থ দফতরের ভার তুলে দিলেন নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি অজন্তা নিয়োগ।


করোনা আবহে পড়শি রাজ্য অসমেও বিধানসভা নির্বাচন হয়। রাজ্যে ক্ষমতা এসেছে বিজেপি সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অর্থ দফতরের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন অজন্তা নিয়োগের হাতে।


গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন অজন্তা। ১৯৯৬ সালে অজন্তার স্বামী নগেন গগৈয়ের আলফার হাতে মৃত্যু হয়। এরপরই রাজনীতির ময়দানে আসেন তিনি। তরুণ গগৈয়ের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। তরুণ গগৈ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি পিডব্লুউডি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি কংগ্রেস থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।


৪৬ বছর বয়সী অজন্তা নিয়োগ গোলাঘাট কেন্দ্র থেকে  ৯ হাজার ৩৬ ভোটে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে প্রত্যেক বছর ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। সবথেকে বেশি দিন তো বটেই টানা এতদিন একই কেন্দ্র থেকে কেউ বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হননি। এক্ষেত্রেও নজির তৈরি করেছেন অজন্তা।


নতুন দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অসমের অর্থমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি অত্যন্ত খুশি। মুখ্যমন্ত্রী আমার উপর ভরসা করে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড ১৯ মহামারীর সঙ্গে লড়াই করাই এক আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।


এদিকে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সমালোচনার মুখেও পড়েছেন অজন্তা। এই প্রসঙ্গে অজন্তা বলেন, এর আগের সরকারের আমলে আমি পিডব্লুউডি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব সামলেছি। একইসঙ্গে প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টেও কাজ করেছে। আর দুই ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অর্থ দফতরের দায়িত্ব সামলাতে পারব বলেই আমার বিশ্বাস। আমার ধারণা নতুন কাজের মধ্যে দিয়েও আরও অনেক কিছু শিখতে পারব।