শ্রীনগর:  নিরাপত্তা বাহিনীর (Security Forces) সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) বারামুলায় নিহত ২ জঙ্গি (Terrorists Killed)। আজ ভোরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াইয়ে মারা যায় ২ জঙ্গি। ঘটনাস্থল থেকে AK 47 রাইফেল এবং একটি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। এর আগে, গত কাল কুপওয়াড়ায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে ২ জঙ্গির প্রাণ যায়।


যা ঘটেছিল...
বৃহস্পতিবার খুব ভোরে বারামুলার ওয়ানিগাম পায়িন ক্রিরি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গিদের। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। হঠাতই গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা, দাবি নিরাপত্তা বাহিনীর। কাশ্মীর জোন পুলিশ ট্য়ুইট করে গোটা ঘটনার কথা জানায়। সঙ্গে এও জানানো হয়, নিহত দুজনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পরে কাশ্মীর পুলিশের এডিজি, বিজয় কুমার বলেন, 'শাকির মাজিদ নাজার এবং হানান আহমেদ শেহ নামে লস্কর-ই-তৈবা-র দুই সদস্য মারা গিয়েছে। দু'জনেই শোপিয়ান জেলার বাসিন্দা।' বুধবার, কুপওয়ারা জেলাতেও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ যায় ২ জঙ্গির। 


রক্তাক্ত উপত্যকা...
গত ফেব্রুয়ারিতে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের রক্তে লাল হয়েছিল উপত্যকা। ট্যুইটারে হামলার খবরে সিলমোহর দেয় কাশ্মীর জোন পুলিশ। তাদের ট্যুইটাার হ্যান্ডলে লেখা হয়, 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। নিহত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় শর্মা। কাশীনাথ শর্মার ছেলে তিনি। সকালে বাজারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই গুলি চলে'। হামলার পর তড়িঘড়ি সঞ্জয়কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। জম্মু ও কাশ্মীরে এই নিয়ে আরও একবার সংখ্যালঘু পণ্ডিতদের উপর হামলা চালানো হয়। গত বছর, পর পর এমন বেশ কয়েকটি হামলা চালায় জঙ্গিরা। কিন্তু অক্টোবরের পর থেকে কিছুটা শান্তি ফিরেছিল। ফেব্রুয়ারির ঘটনায় তাতে ছেদ পড়ে। সাত সকালে বাজার যাওয়ার পথে জঙ্গিদের গুলিতে মারা যান কাশ্মীরি পণ্ডিত ওই ব্যক্তি।জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয়ের গ্রামে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজ চলছে। এর আগে, গতবছর অক্টোবরে কাশ্মীরি পণ্ডিত এক কৃষককে হত্যা করে জঙ্গিরা। শোপিয়ানে নিজের বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করে এমন হামলা উত্তরোত্তর বেড়েছে বলে মত স্থানীয়দের।  এর ফলে, গত কয়েক মাসে নতুন করে উপত্যকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হিড়িক লক্ষ্য করা যায়।


আরও পড়ুন:কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনি অ্যাজমার শিকার? কী কী সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন?