Asthma: অ্যাজমার সমস্যা মানেই প্রবল শ্বাসকষ্ট (Breating Problem) হবে রোগীর। এই যন্ত্রণা যিনি ভোগ করেছেন, তিনিই জানেন ঠিক কতটা অসুবিধা হতে পারে। তাই অ্যাজমার (Asthma) সমস্যা থাকলে অবশ্যই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এর পাশাপাশি অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। আর একেবারেই নিজের ইচ্ছে মতো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অ্যাজমার সমস্যা কেন হয়, কী কী উপসর্গ দেখলে বুঝবেন আপনি অ্যাজমায় আক্রান্ত, কী কী সতর্কতা মেনে চলা উচিত- এই বিষয়েই রইল কিছু হেলথ টিপস।


অ্যাজমা হওয়ার কারণ



  • প্রবল পরিবেশ দূষণের থেকে মূলত ধুলোবালি থেকে অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এই ধুলো থেকে অনেকের সর্দি হয় যা কফের আকারে শরীরে বসে যায়। অবহেলা করলে এই সামান্য সর্দির সমস্যা পরবর্তীকালে অ্যাজমার আকার ধারণ করতে বেশিদিন সময় নেবে না।

  • যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা সতর্ক থাকুন। কারণ সর্দি, কাশির সমস্যা বাড়লে, বুকে কফ জমে গেলে ফুসফুস এবং শ্বাসনালীতে সংক্রমণের পাশাপাশি অ্যাজমার সমস্যাও দেখা দিতে পারে নিমেষে।

  • বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, মূলত জ্বর, সর্দি-কাশি এসবের ফলে আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। হঠাৎ মনে হতে পারে আপনি যেন শ্বাস নিতে পারছেন না। এই সমস্যাই ক্রমশ অ্যাজমার আকার নেবে।

  • অনেক সময় অনেক ওষুধের সাইড এফেক্ট বা পার্শ্বপ্রক্রিয়াতেও অ্যাজমার শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা থেকেও শ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের শরীরে। তাই অ্যাজমা রোগীরা বা যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরা তেলমশলা যুক্ত গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। 

  • অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে অবসাদ অ্যাজমা ট্রিগারের কারণ হতে পারে। ধুলো এবং ধোঁয়ার থেকে মারাত্মক ভাবে বাড়তে পারে অ্যাজমার সমস্যা। এমনকি যিনি অ্যাজমা রোগী নন, তাঁরই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

  • খুব জোরে হাসাহাসি করলে, একটানা কথা বললে, জোরে হাঁটাহাঁটি করলেও অ্যাজমা ট্রিগার হতে পারে। তাই অ্যাজমা রোগীদের খুবই সাবধানে থাকতে হবে। 


অ্যাজমার উপসর্গ



  • আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেতে পারে। একেই বলে অ্যাজমা ট্রিগার। শ্বাসযন্ত্রে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

  • ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ ভাব অনুভব করতে পারেন আপনি। হঠাৎই মনে হতে পারে যেন আর শ্বাস নিতে পারছেন না। 

  • অ্যাজমার থেকে বিভিন্ন ইনফেকশন বা সংক্রমণ হতে পারে আপনার ফুসফুসে। এর সঙ্গে হতে পারে চেস্ট এবং ভয়েস ইনফেকশন।

  • জ্বর, সর্দি-কাশির থেকে যেমন অ্যাজমা হয়, তেমনই অ্যাজমা ট্রিগার হলেও এইসব সমস্যা দেখা দিতে পারে।

  • বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অ্যাজমা হলে কষ্ট সবচেয়ে বেশি। তাই বাড়ির অভিভাবকরা বাচ্চাদের ব্যাপারে বিশেষ করে সতর্ক থাকুন। কোনও উপসর্গ বা সমস্যা লক্ষ্য করলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।


অ্যাজমা থাকলে যেসব সতর্কতা নেবেন



  • ধূমপানের অভ্যাস থাকলে অবিলম্বে তা ত্যাগ করুন।

  • খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

  • বেশি রাতে খাওয়াদাওয়া করবেন না। সহজপাচ্য খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

  • ঠান্ডা জিনিস না খাওয়াই মঙ্গলের।

  • অ্যাসিডিটি বা গ্যাস হয় এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।

  • অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না।

  • শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলেও ভারী ওয়ার্ক আউট না করাই ভাল। 


আরও পড়ুন- কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের জীবনে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি