নয়াদিল্লি: মোবাইলে ফোন বিস্ফোরণে ভয়ঙ্কর পরিণতি। অকালে চলে গেলেন তরুণী। আঘাত গুরুতর হওয়ার ফলেই এই মৃত্যু। ঘটনা হিমাচল প্রদেশের ডালহৌসির। গত ১০ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনা সেরাজ্যে এই প্রথম।
অকালে চলে গেলেন তরুণী: হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh News) বিচুনি জেলার বাসিন্দার কিরণ। জানা গিয়েছে, চার্জ দেওয়ার সময় ফোন ব্যবহার করছিলেন তিনি। ওই অবস্থাতেই ফোনের ইন্টারনেট কানেকশন অন করেন এবং কানে ফোন দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। কানে ফোন থাকা অবস্থাতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের ঘরে ছোটেন কিরণের মা চঞ্চল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘরে গিয়ে দেখেন গুরুতর জখম অবস্থায় মেয়েকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন মা।
তৎক্ষণাত সালোনিতে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে চম্ব মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তান্ডা মেডিক্য়াল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়। চম্ব মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. বিশাল মহাজন ঘটনা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তবে এত লড়াইয়ের পরও শেষরক্ষা হল না। রবিবার মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। জানা গিয়েছে, ক্ষতের গভীরতা এতটা ছিল, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছিল তা বিস্তারিতভাবে বলতে পারেননি কিরণ। কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা। কোন সংস্থার মোবাইল ফোন ছিল তাও এখনও জানা যায়নি। তান্ডা মেডিক্য়াল কলেজে ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।
এর আগে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল বিস্ফোরণে (Mobile Phone Explosion) প্রাণ যায় এক চিকিৎসকের। ঘুমের ঘোরে বিছানার পাশে নিজের মোবাইল চার্জে রেখেছিলেন এই ব্যক্তি। ভোররাতে বিকট শব্দ শোনা যায়। গুরুতরভাবে পুড়ে মারা যান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছিল, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। নিহত ডাঃ তরিকুল আলম (৪২) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। ঘটনার পর ওই হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।