কলকাতা: ঠাকুরপুকুরের সত্যনারায়ণ পল্লিতে একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছেলের মৃতদেহ। বৃদ্ধের দেহের পাশে চক দিয়ে লেখা আমরা তিনজনই মৃত। বিষ রয়েছে বলে একটি পাত্রের গায়ে লেখা সাবধানবাণী। সপরিবারে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব প্রতিবেশীরা। গোটা ঘটনার কথা এদিন ডিসি সাউথ-ওয়েস্টকে জানান তাঁরা।


স্ত্রী রুনু ও বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে দেবাশিসকে নিয়ে এই বাড়িতেই থাকতেন গৃহকর্তা গোবিন্দ কর্মকার। স্থানীয়দের দাবি, বহু বছর আগে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বিভিন্ন ধরনের কাজ করে সংসার চালাতেন গোবিন্দ। ফলে বহুদিন ধরেই আর্থিক অনটনে ভুগছিল এই পরিবার। সম্প্রতি বৃদ্ধের স্ত্রী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধও। প্রতিবেশীদের দাবি, আজ সকালে সাড়া না মেলায়, দরজা খুলে দেখা যায়, ঘরের মেঝেয় পড়ে ৮০ বছরের গৃহকর্তার মৃতদেহ। খাটের উপর বৃদ্ধের ৭০ বছরের স্ত্রী ও বছর আটচল্লিশের ছেলের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ।


একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, রবিবার পড়ে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ। ঠাকুরপুকুর থানাকে জানানো হলেও, বেশ কয়েকঘণ্টা পর অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। এরপর বিভিন্ন হাসপাতালে বৃদ্ধকে ভর্তি করা নিয়ে চলে টানাপোড়েন। দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্সেই পড়ে থাকেন বৃদ্ধ। কার্যত বিনা চিকিৎসায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রতিবেশীদের অনুমান, স্ত্রী ও ছেলের অসুস্থতার কথা ভেবে সম্ভবত মানসিক ভারসাম্য হারান বৃদ্ধ। তার জেরেই এই চরম সিদ্ধান্ত।