- তামাক বর্জন
কেবল মেদ নয়, ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার প্রথম ধাপই হল তামাক বর্জন। সিগারেট সহ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য শরীরে অপরিমিত মেদ জমতে সাহায়্য করে। সেই সঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি করে ফুসফুস সহ শরীরের একাধিক অংশের।
- ডায়েটে থাকুক ভিটামিন, মিনারেল
কেবল কম খেলেই মেদ ঝরবে এই ধারনা একেবারে ভুল। খাদ্য তালিকায় শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অস্কিডেন্ট না থাকলে কিন্তু ফল হতে পারে উল্টো। খাবার তালিকায় রাখুন টক দই, ফল, মাছ, মাংসের মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল। সামান্য পরিমানে কার্বোহাইড্রেটও কিন্তু ডায়েটে জরুরি। কাজেই ভাতকে খাদ্যতালিকা থেকে একেবারে বাদ দেবেন না।
- হালকা খাবার
তেল-মশলা থেকে হালকা খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন। বাইরের খাবার একেবারে বাদ দিতে পারলেই ভালো। স্বাদ বদলাবার জন্য বিভিন্ন রকমের স্যালার্ড, ফ্লেভারড ইয়োগার্ড খেতে পারেন। খাদ্যতালিকায় লেবু, টকদই, গ্রীন টি ইত্যাদি রাখুন। যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলুন চিনি খাওয়া। একেবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প খাওয়া অভ্যাস করুন।
- জল বেশি খান
মেদ ঝরানোর অন্যতম কার্যকরী উপায় হল জল খাওয়া। জল শরীরকে ডিটক্স করে ঝরঝরে রাখে। কাজেই শরীরের বর্জ্য সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে। হজমেও সাহায্য করে জল। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের থেকে সারা দিনে জল খাবার পরিমাণ অবশ্যই জেনে নিন।
- সামান্য শরীরচর্চা
শরীরচর্চা মানেই সবসময় জিমে গিয়ে প্রবল কসরৎ করা নয়। বাড়িতেই হালকা ব্যায়াম বা যোগাসন করতে পারেন। শরীরকে সচল রাখার জন্য স্কিপিং বা হালকা ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। নিয়মিত হাঁটাও কিন্তু শরীর সুস্থ রাখে, সাহায়্য করে হজমেও। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্যও কার্যকরী।