চেন্নাই: বিকৃত যৌনতা জোর করার জন্য স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ৩৪ বছরের নিহত ব্যক্তি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। অভিযোগ, হত্যার দিন স্বামীর হাতে প্রচণ্ড নিগৃহীত হন ওই মহিলা।


পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম ই সুন্দর ওরফে সুদীর। বাড়ি তিরুমঙ্গলমে। জরিপ বিভাগে তিনি কর্মরত ছিলেন। আট বছর আগে, সুদীরের সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় সরকারি স্কুল শিক্ষিকা এস আরিভুলসেলভমের। দম্পতির এক কন্যাও রয়েছে।


শুক্রবার, স্বামী সুদীরকে হাসপাতালে নিয়ে যান আরিভুলসেলভম। তিনি চিকিৎসকদের জানান, তাঁর স্বামী বিছানা থেকে পড়ে অচৈতন্য হয়ে যান। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে সুদীরকে মৃত ঘোষণা করেন।


এরমধ্যে তিরুমঙ্গলম পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে নিজে থেকে তদন্ত শুরু করে। পুলিশের সন্দেহ হয়, যখন তাঁরা দেখেন যে, নিহতের গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


শুক্রবার, জেরার জন্য আরুভিলসেলভমকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। সেখানে তিনি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই মহিলা জানিয়েছেন, তিনি দুই আত্মীয়র সঙ্গে স্বামীকে মেরে ফেলেছেন।


মহিলা পুলিশকে আরও জানান, তাঁর ,স্বামী মদ্যপ ছিল। প্রতিনিয়ত বিকৃত যৌনতায় জোর করত। মহিলার দাবি, বিকৃত যৌনতায় রাজি না হলে সুদীর তাঁকে মারধর করত। বৃহস্পতিবার, সুদীরের দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয় আরুভিলসেলভম।


এরপর দুই আত্মীয় বালামণি ও সুমাইয়ারকে ডেকে পাঠান তিনি। তিনজন সুদীরের মাথা প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে বেঁধে দেয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে মারা যান সুদীর। আরুভিলসেলভম জানান, সুদীরের গোপনাঙ্গে আঘাত করেন সুমাইয়ার।