Tempo Traveller Catches Fire: ভয়ঙ্কর ঘটনা। মাঝরাস্তায় অফিসের টেম্পো ট্রাভেলর বাসে দাউদাউ আগুন। আর সেই আগুনে পুড়েই (Bus Catches Fire) মারা গেলেন ৪ অফিসযাত্রী। আজ বুধবার সকালেই পুনের হিঞ্জেওয়াড়িতে (Pune News) ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের এবং আরও ১০ জন গুরুতরভাবে আহত।
পুনের হিঞ্জেওয়াড়িতে একটি টেম্পো ট্রাভেলর বাস একটি বেসরকারি সংস্থায় অফিসকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছিল। ডাসল্ট সিস্টেমস সংস্থায় পৌঁছানোর ঠিক আগে আগেই সেই টেম্পোতে হঠাৎ করেই আগুন ধরে যায়। টেম্পো চালকের পায়ের নিচ থেকেই প্রথমে আগুন ধরে। আর সামনের দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে চালক গাড়ির গতি কমিয়ে দেন। হিঞ্জেওয়াড়ি থানার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বৈশাল গায়কোয়াড় এমনটাই জানিয়েছেন। আর এই মিনিবাসের পিছনদিকে যে এমার্জেন্সি এক্সিট ডোর ছিল তা খোলাই যায়নি আর সেই কারণেই আগুনে বাসের মধ্যেই পুড়ে মারা গিয়েছেন ৪ যাত্রী।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ আরও জানান, 'যদিও বেশ কিছু কর্মী বাসের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন, কিন্তু তাদের মধ্যে ৪ জন কোনওভাবেই বাইরে বেরোতে পারেননি আর তার ফলে তাদের মৃত্যু হয়। টেম্পো থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা এবং সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে দেহ সরানো হয়ে গিয়েছে, গুরুতরভাবে আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'
আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। হিঞ্জেওয়াড়ির একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজের উদ্দেশ্যেই সেই টেম্পোতে চেপে রওনা দিয়েছিলেন অফিসযাত্রীরা। মাঝরাস্তাতেই টেম্পোতে আগুন ধরে যায়। প্রথমে আগুন লাগে চালকের কেবিনে। আর তারপরেই সামনের দরজা দিয়ে যাত্রীরা আতঙ্কে নিচে নেমে পড়তে থাকে। কিন্তু পিছনের এমার্জেন্সি এক্সিট কোনওভাবেই খোলা যায়নি। ফায়ার ব্রিগেডের এক আধিকারিকের মতে, যারা নিজেদের রক্ষা করে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন, তারা ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্যই করেননি বেরিয়ে আসার জন্য। আর তাই এই ভয়াবহ আগুনে মৃত্যু হয় তাদের। পুলিশ জানিয়েছে আহতদের নিকটবর্তী রুবি হল ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। কেন আগুন ধরল, সেই কারণ অনুসন্ধান করে দেখছে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড আধিকারিকরা।