নয়াদিল্লি: জঙ্গি সন্দেহে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হল ৫ জনকে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এদিন শকরপুর এলাকা থেকে এনকাউন্টার করে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ২ জন পঞ্জাবের, ৩ জন কাশ্মীরের বাসিন্দা। এদের প্রত্যেকের আইএসআই এবং খালিস্তানপন্থী লোকজনের সঙ্গে যোগ আছে বলে অনুমান পুলিশের।


দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের ডিসিপি প্রমোদ কুশওয়াহা বলেন, পঞ্জাব এবং কাশ্মীরের দুটি দলকে আটক করা হয়েছে। পঞ্জাবের দলটি খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কাশ্মীরের ৩ সন্দেহভাজন ড্রাগ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দিল্লি থেকে এনকাউন্টার করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারি প্রমাণ করে কীভাবে কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে খালিস্তানী শক্তিগুলির যোগসাজশ তৈরি হয়েছে।  তাঁর কথায়, কাশ্মীরের যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হিজবুল মুজহিদ্দিনের হয়ে কাজ করত সেটা বলাই যায়। তাদের পাকিস্তানে ঘাঁটি আছে। একইসঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও ঘাঁটি তৈরি করেছে তারা। আইএসআই দুয়ের মধ্যে সংযোগ  স্থাপনের চেষ্টা করছে।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুই ব্যক্তি শৌর্য চক্র পুরষ্কার প্রাপ্ত পঞ্জাবের বলবিন্দর সিংহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পঞ্জাবের তরন তারন জেলায় নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বলবিন্দরের। ডিসিপি প্রমোদ কুশওয়াহা বলেন, ধৃতদের মধ্যে ২ জন বলবিন্দরকে হত্যা করে। তাদের নাম গুরজিত সিংহ ভুরা এবং সুখদীপ। পঞ্জাব পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করছে। তারা স্বীকার করেছে যে অস্ত্রগুলি এদিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে,তা দিয়েই খুন করা হয়েছিল বলবিন্দর সিংহকে। পুলিশের বক্তব্য, মূলত দুটি উদ্দেশ্যে পঞ্জাবে খুনের চক্রান্ত করা হয়। এক, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর জন্য, দুই, যারা জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাঁদের মুখ বন্ধ করার জন্য।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বলবিন্দর সিংহ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ওই দুই ব্যক্তি সুখমিত এবং অন্য দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে যুক্ত। এই দুষ্কৃতীদের আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ আছে। এই অভিযানে অস্ত্র ছাড়াও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। ৩টি বন্দুক সহ ২ কিলো হেরোইন, ১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যোগ নেই বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।