কোচবিহার: বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে যেদিন কলকাতা ও হাওড়ায় ধুন্ধুমার, কার্যত রণক্ষেত্র সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, হেস্টিংস এলাকা, সেদিনই কোচবিহারে বিজেপিতে ফের ভাঙন। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অমল সরকার সহ কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ বিজেপি নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে। দলীয় কার্যালয়ে নবাগতদের হাতে পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।
দলত্যাগী নেতাদের অভিযোগ, বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় নিজের ইচ্ছেমতো দল চালাচ্ছেন। কারও পরামর্শ শুনছেন না। তাঁদের একজন, অমল সরকার আরও দাবি করেন, মালতি রাভা রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোচবিহারে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন একাধিক নেতা। এই ট্রেন্ড চলবে বলে দাবি করে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, আগামী সপ্তাহে আরও কয়েকজনকে জয়েন করাব। কৃষি আইনের প্রতিবাদ করে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে এঁরা আসছেন।
যদিও জেলার বিজেপি নেতা প্রণব পাল বলেন, কে কোন দলে গেছে আমার জানা নেই। যদি গিয়ে থাকে, তাহলে লোভে পড়ে গেছে। আমাদের আর কোনও নেতা যাবেন না। আমাদের দলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেউ একা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনটি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। জেলার ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে গত লোকসভা ভোটের নিরিখে ৭টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ২টিতে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার এই হিড়িকে গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি বাড়ছে।