কলকাতা: বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া ময়দানে পুলিশের চারটি ব্যারিকেডের প্রথম দু’টি ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পাল্টা লাঠাচার্জ ও কাঁদানো গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ।
এই সময় হঠাৎই একজন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়ে যান। পুলিশের দাবি, ধস্তাধস্তির সময় এই বিজেপি কর্মীর থেকেই পিস্তলটি উদ্ধার হয়।
আর এই পিস্তলকে কেন্দ্র করে রাজ্য শাসক শিবির ও বিরোধীদের মধ্যে শুরু তুমুল চাপানউতোর। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ধৃতের নাম বলবিন্দর সিং। পুলিশের দাবি, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গী প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের সঙ্গে ছিলেন বলবিন্দর।
জবাবে, এদিন বিকেলে দলের সদর কার্যালয় থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ যে অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে তার লাইসেন্স আছে।
দিলীপ বলেন, ‘পুলিশ নির্মম ভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। বিজেপি কর্মীদের প্রাণে মারার জন্য হামলা চালিয়েছে পুলিশ। রাজ্যে স্বৈরাচারী সরকার চলছে।
তিনি যোগ করেন, ‘যুব সমাজকে সামলানোর জন্য রাজ্য পুলিশ প্রশিক্ষিত নয়। সেই জন্য শুরু থেকেই লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ মিছিলে অশান্তি তৈরি করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।’
আরেক বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, বিজেপি নেতার দেহরক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতা ও হাওড়ায়। বৃহস্পতিবার কলকাতা এবং হাওড়ার চারটি জায়গা থেকে মিছিল শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।
রাস্তাতেই ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। কোথাও মিছিল আটকাতে জলকামান থেকে রঙিন জল স্প্রে করা হয়। কোথাও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। কোথাও করা হয় লাঠিচার্জ।
অন্যদিকে, হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হওয়া মিছিলে এক ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। হাওড়ার মিছিল থেকেই পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।