ওয়াশিংটন: সারা বিশ্বে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে এপর্যন্ত আড়াই লক্ষ লোকের মৃত্যুর জন্য চিন কতটা দায়ী, তা নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের আবহে শি জিনপিংয়ের দেশকে তোপ দেগে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন বললেন, গত ২০ বছরে অন্তত ৫টা প্লেগ ছড়িয়েছে চিন থেকে, কোথাও একটা এর শেষ হওয়া উচিত।
কোভিড-১৯ এর উতসস্থল বলে চিনকে চিহ্নিত করে হোয়াইট হাইসে সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রায়েন বলেন, বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে থেকেই এবার আওয়াজ উঠবে, আর চিন থেকে এমন প্লেগ ছড়ানো সহ্য করা হবে না, সেটা চিনের গবেষণাগার বা পশুপাখি, জন্তুজানোয়ারের মাংসের বাজার, যেখান থেকেই হোক না কেন। কোনওটাই কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি, এটা উহান থেকে এসেছে, সেখানকার ল্যাবরেটরি বা পশুপাখির মাংসের বাজার থেকে। কিন্তু আবার বলব দেশটা চিন, তাই কোনওটাই ঠিক নয়। গত ২০ বছরে চিন থেকে পাঁচ-পাঁচটা প্লেগ ছড়িয়েছে। সার্স, এভিয়েন ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, এখন কোভিড-১৯। চিন থেকে সারা পৃথিবীতে ছড়ানো জনস্বাস্থ্যের সামনে এমন ভয়ানক বিপদ, পরিস্থিতি আর কতদিন বিশ্ব মেনে নিতে পারে? ব্রায়েন অবশ্য পঞ্চম প্লেগের নাম করেননি। বলেন, বলতে চাইছি, কোনও একটা সময়ে এর অবসান হওয়া দরকার। চিনকে সাহায্য করতে পেশাদার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পাঠাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ওরা তা প্রত্যাখ্যান করে।
ভাইরাসের উত্পত্তি নিয়ে আমেরিকা কি এখনও তথ্যপ্রমাণ খুঁজছে? ব্রায়ান কোনও সময়সীমা দিতে চাননি এ ব্যাপারে। তিনি বলেন, আমরা লাগাতার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এটা অবশ্য়ই গভীর উদ্বেগের ব্যাপার। চিনকেই ঠিক করতে হবে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কী করে সমস্যার মোকাবিলা করবে, কেননা আমরা এই ভাইরাসগুলির, প্লেগের কোনও একটা চিন থেকে আবার ছড়াক, সেটা হতে দিতে পারি না। শুধু আমেরিকা নয়, সারা বিশ্ব একটা ভয়াবহ বিপদে পড়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি স্তব্ধ। এই প্রথম নয়, ২০ বছরে পঞ্চমবার। এবার বন্ধ হওয়া উচিত। সাহায্য লাগবে চিনের। বাকি দুনিয়ার সাহায্যের প্রয়োজন ওদের। আমরা জনস্বাস্থ্য়ের বিপদ মোকাবিলায় চিনকে সাহায্য করতে প্রস্তুত যাতে ফের এর সামনে পড়তে না হয়।