লখনউ : উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৭৭ জন শিক্ষকের। করোনা থাবা বসিয়েছে মৃতদের পরিবারে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইউপির বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।
কী বলছে শিক্ষক সংগঠন ?
ক্রমশই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে। কোভিড সংক্রমণের জেরে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, শিক্ষক ও শিক্ষামিত্রদের নিয়ে মোট ৫৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে পোল ডিউটিতে। সেকারণে ২ মে গণণার কাজে যেতে চান না তাঁরা।
ইতিমধ্যেই মৃত শিক্ষকদের নামের তালিকা উত্তরপ্রদেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে ইউপি শিক্ষক মহাসংঘ। এ বিষয়ে মহাসংঘের সভাপতি দীনেশ চন্দ্র শর্মা জানান, পরিস্থিতি খুব খারাপ। তাই শিক্ষকদের ২ মে গণনা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে শিক্ষক অসন্তোষ
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডিউটিতে শিক্ষকদের এই হাল নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠিয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। চিঠিতে কোভিডকালে নির্বাচনী সতর্কতা ও শিক্ষকদের মৃত্যু সম্পর্কে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৩মে রয়েছে এর পরবর্তী শুনানি। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক নেতারা। তাঁদের মতে, ২ মে ভোট গণনার দিন পিছিয়ে দেওয়া উচিত ছিল হাইকোর্টের। তা না হলেও ২৯ তারিখ চতুর্থ দফার নির্বাচন বন্ধ করা উচিত ছিল আদালতের।
কী ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন ?
পোল ডিউটিতে শিক্ষকদের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খুলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্পেশ্যাল ওয়ার্ক অফিসার এসকে সিং জানিয়েছেন, বিষয়টি নজরে এসেছে তাঁদের। ইতিমধ্যেই সব ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলার পুলিশ প্রধানকে শিক্ষকদের মৃত্যু নিয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। সব রিপোর্ট হাতে এলেই বিষয়টি জানা যাবে।
'কমিশন দাবি না মানায় এই হাল'
শিক্ষকদের মৃত্যু নিয়ে ইউপি শিক্ষক মহাসংঘের সভাপতি দীনেশ চন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, গত ১২ এপ্রিল থেকেই রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সেই সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক সংগঠনের সেই দাবি মানা হয়নি। এখনও ফতেপুর, শামলি, আলিগড়ের শিক্ষকদের খবর আসেনি। পরিস্থিতি আরও জটিল হতে চলেছে।