নয়া দিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৭৩০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার একথা জানাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। বিহারে মৃত চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। 


জানা গেছে, করোনায় বিহারে ১১৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে মৃত চিকিৎসকের সংখ্যা ১০৯। উত্তরপ্রদেশে ৭৯ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ৩৮, তেলেঙ্গানায় ৩৭ জন, কর্ণাটকে ৯ জন, কেরলে ২৪ জন এবং ওড়িশায় ৩১ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ২৩ জন চিকিৎসকের প্রাণহানি হয়েছে।


এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪-ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ২২৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ১০৫।   


স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জনের। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৭৩ জনের।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬২৮ জন। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৮৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ১০০২ জন।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৩২। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ২৬.১৯ কোটি মানুষের টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।


প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাপকহারে সংক্রমণ দেখা গেছে গোটা দেশে। একসময় ৪ লক্ষর বেশি দৈনিক সংক্রমণ দেখা গেছে। ধীরে ধীরে তা কমছে। সংক্রমণ এখন অনেকটাই কমেছে। তবে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় ধীরে ধীরে বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকলকে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে। তবে টিকাকরণ অবশ্যই হতে হবে। যদিও ভ্যাকসিন ডোজের অভাব থাকায় বিভিন্ন জায়গায় টিকাকরণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।