নয়া দিল্লি: সরকারি কোনও কর্মীর যদি কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় অসামরিক সরকারি কর্মচারী, যারা অবসর গ্রহণের পূর্বে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাঁদের অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের পরিবারকে দেওয়া এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণের নিয়ম এর আগে বারবার সংশোধন করেছে কেন্দ্র।
এবার অর্থ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে এবার থেকে পরিবারের যেকোনও সদস্যকে মনোনয়ন করানো বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জীবিত থাকাকালীন পরিবারের একজনকে নমিনেটেড করতে হবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য। যাতে কোনও কারণে কর্মজীবন চলাকালীন ওই কর্মীর মৃত্যু হলে কেন্দ্র পরিবারের সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে এককালীন ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দিতে পারে।
পেনশন ও পেনশনার্স কল্যাণ বিভাগের তরফে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১-এ। সেখানে বলা হয়েছে, "চাকরি চলাকালীন একজন সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুতে ওই কর্মী মনোনীত ব্যাক্তিকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ, যেমন ডেথ গ্র্যাচুইটি, জিপিএফ ব্যালেন্স এবং সিজিইজিআইএস দেওয়া হবে। এও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এক নিষ্ঠাবান সরকারি কর্মচারী দায়িত্ব পালনের সময় মৃত্যু হলে,তার প্রাপ্য সমস্ত অর্থই ওই কর্মী দ্বারা মনোনীত ব্যক্তিকেই দেওয়া হবে।"
কেন্দ্রীয় সরকার এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে একটি কমন নমিনেশন ফর্ম (ফর্ম ১) নিয়ে এসেছে সিসিএস (পেনশন) নিয়ম, ১৯৭২ অনুসারে। সেখানেই এই নমিনেশন ফর্মটিকে সংশোধন করে যুক্ত করা হয়েছে। Department of Pension and Pensioners Welfare (DoPPW)-এর তরফে বলা হয়েছে যদি মনোনয়ন দেওয়া না হয়ে থাকে বা সরকারি কর্মীর দেওয়া মনোনয়নটি গৃহীত না হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ ওই কর্মী পরিবারের সকলের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
এও জানান হয়েছে যে, পরিবারের বাইরে সদস্যকে মনোনীত করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, এমন কোনও ব্যক্তিকে মনোনীত করা যাবে না যিনি পরিবারের সদস্য নন। এক্ষেত্রে যদি ওই সরকারি কর্মচারীর কোনও পরিবার নাও থাকে সেক্ষেত্রেও তিনি কারওকে মনোনীত করতে পারবেন না তার মৃত্যুতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে।