নয়াদিল্লি: অক্সিজেনের অভাবে ফের মৃত্যু গোয়া মেডিক্যাল কলেজে। গতকাল, শনিবারর মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অক্সিজনের অভাবে এখনও পর্যন্ত মৃত্য়ু হয়েছে ৮৩ জনের।


রাত বাড়লেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে আতঙ্ক। এই বুঝি আর কারও মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশিরভার রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাত দুটো থেকে সকাল ছ’টার মধ্যে।  অভিযোগ, প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। আর তাই অনেকেই এই সময়কে অন্ধকার সময় বলে ব্যাখ্যা করছেন।


যদিও চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে তা মানতে রাজি নয়। তাঁদের দাবি, সংশ্লিষ্টদের মৃত্যু হয়েছে কোভিড নিউমোনিয়া।  গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিন ডা. এস এম বান্দেকর বলেন, সরাসরি অক্সিজেনের অভাবে সংশ্লিষ্টদের মৃত্যু হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। অনেকের মৃত্যু হয়েছে কোভিড নিউমোনিয়ায়। যা চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। তবে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, রাতভর রোগীদের অক্সিজেন ওঠানামা করলেও কেউ সেদিকে নজর দেননি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১৩টি ওয়ার্ডে রোগীদের অক্সিজেনের অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিকে হাসপাতাল কর্মীদের অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য যত সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রয়োজন তা নেই।


গোয়া মেডিক্যাল কলেজে মঙ্গলবার ২৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর পরই আলোড়ন পড়ে যায়। তারপরও তিন দিনে মৃত্যু হয়, আরও ৪৯ জন রোগীর। বুধবার মৃত্যু হয়েছে ২১ জন করোনা রোগীর। বৃহস্পতিবার ১৫ জনের।  আর শুক্রবার ১৩ জনের। শনিবার সংখ্যাটা ৮। কিন্তু মৃত্যু মিছিল অব্যাহত হাসপাতালে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে- বোম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চে, বিজেপি শাসিত গোয়া সরকার স্বীকার করে নিয়েছে, যে, কয়েকটি মৃত্যু অক্সিজেনের অভাবেই হয়েছে।


শুধু অক্সিজেনের অভাব নয়, খালি সিলিন্ডারের অভাব, ট্রলি ড্রাইভারের অভাব, তাই প্ল্যান্ট থেকে অক্সিজেন আনা যাচ্ছে না। সম্প্রতি, এই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি। চূড়ান্ত অব্যবস্থা। রোগীদের মাটিতে শুইয়ে রাখা হচ্ছে। অভিযোগ, পরিস্থিতি এমন যে রোগীদের জন্য বাড়ি থেকে বিছানা নিয়ে আসতে হচ্ছে। এরই মধ্যে একের পর এক করোনা রোগীর অক্সিজেনের মৃত্যুর অভিযোগে। এদিকে শুক্রবারই  গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক প্রমোদ সাওয়ন্ত ও স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি।