নয়া দিল্লি : করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগ্রহও বাড়ছে মানুষের মধ্যে। গতকাল Co-Win পোর্টাল ও Aarogya setu অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিভুক্তকরণের পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৮৮ লক্ষ মানুষ করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। আজ এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে। গতকাল তার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। Co-Win পোর্টাল ও Aarogya setu অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, Co-Win রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুব মসৃণভাবে সামলেছে। তিন ঘণ্টার মধ্যেই টিকাকরণের জন্য ৮৮ লক্ষ মানুষ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এরপর অ্যাপোয়ন্টমেন্ট অনুযায়ী তাঁদের টিকাকরণ হবে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, "যখন আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিলাম, তখন এই ভাইরাস সম্বন্ধে আমাদের খুব একটা ধারণা ছিল না। এখন আমাদের অল্প হলেও ধারণা আছে। তাছাড়া ভারতে মৃত্যুর হার মাত্র ১.১১ শতাংশ। আমাদের কোভিড রোগীদের ডায়াগনসিস ও চিকিৎসার উপর জোর দিতে হবে। টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে তাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত উপদেশ দিতে হবে।"
প্রসঙ্গত, দু'ফায় টিকাকরণ হয়েছে আগেই। পয়লা মে থেকে ফের শুরু হচ্ছে টিকাকরণ কর্মসূচি। অতীতে প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিরাই কোভিড টিকা নিতে পারছিলেন। পরে টিকাকরণে যুবসমাজকে অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১৯ এপ্রিল টিকাকরণের বিষয়ে নতুন করে নির্দেশিকা জারি হয়। তাতে বলা হয়, এবার থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিরাও টিকা নেওয়ার যোগ্য।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার সরাসরি টিকাকরণের জায়গায় গিয়ে কোনও লাভ নেই। ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে ব্যক্তিদের নিজেদেরই রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাডভান্স অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হবে। বার বার টিকাকরণের জায়গায় গিয়েও কোনও লাভ হবে না। তৃতীয় দফার টিকাকরণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীদের ৫০ শতাংশ টিকা কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে।