ময়ূরেশ্বর : শেষ দফার ভোটেও অশান্তি অব্যাহত। ময়ূরেশ্বরে বিজেপি প্রার্থী শ্যামাপদ মণ্ডলের ভাইকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।


ময়ূরেশ্বরের বিননগরী গ্রামের বুথে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন শ্যামাপদবাবুর ভাই বিশ্বজিৎ মণ্ডল। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। এবং বেধড়ক মারধর করে। মারধরের জেরে তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। ঘটনার পর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি বাড়িতেই রয়েছেন।


যদিও পাল্টা শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপি-র কর্মীরাও তাদের উপর পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এবং তাদের তিন কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 


বিজেপি প্রার্থী শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, "আমি সকাল ৭টার আগে বুথে এসেছিলাম। তখন ভাই বুথের কাছে ছিল দেখেছিলাম। মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রশাসন ছিল। আমি তখন কোনও সমস্যা দেখে যাইনি। তারপর প্রজাপাড়ায় একটা ঝামেলা হয়। আমাদের এজেন্ট বসতে দেয়নি। আমি ওখানে এজেন্ট বসাতে গিয়েছিলাম। সেইসময় রাস্তা দিয়ে ভাই একা আসছিল। ওর উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে লেবু বাগদি, ফিলিপ বিশ্বাস এবং উদয় বিশ্বাস। বাঁশ দিয়ে মেরেছে। নাক-চোখ-মুখ-মাথা ফেটে গিয়েছে। এমনিতে ভাই অসুস্থ। তাই একটু বেশি ঘায়েল হয়েছে। এখানে ডাক্তারের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে।"


এর পাশাপাশি তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই গ্রামে আমার জন্ম। এখানে বড় হয়েছি। প্রত্যেকটি পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। তারপরও এতটা হিংসাত্মক ঘটনায় আমি আশ্চর্য হয়েছি।


এদিকে অষ্টম দফার ভোট ঘিরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে 'খেলা' চলছে। লাভপুর বিধানসভার পূর্ণ গ্রামে ১৩২ নম্বর বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শাসকদলের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে জমায়েত করে বিজেপি। তৃণমূল কর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।