কোয়েটা: বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ পাকিস্তান। সরকারি সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষ যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখনই হঠাৎ কেঁপে ওঠে চারিদিক। ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০ জন গুরুতর আহত। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭। ভোর তিনটে নাগাদ এই ভূমিকম্পটি হয়।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে একাধিক বাড়িঘরের ছাদ, দেওয়াল। সেই সময়েই মৃত্যু হয় বহু স্থানীয় বাসিন্দার। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর টর্চ হাতেই তাঁরা চিকিৎসা করছিলেন। ২০ জন মৃতের মধ্যে রয়েছে এক মহিলা ও ৬ শিশু। সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর বলেন, 'ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাচ্ছি। উদ্ধারকার্য চলছে।'
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতেই সুস্থভাবে সন্তানের জন্ম দিলেন সাত প্রসূতি
বালুচিস্তানের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির কর্তা নাসির নাসার জানান, ১৫ থেকে ২০ জন মারা গিয়েছেন তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বালুচিস্তানের হার্নাই পর্বতের প্রত্যন্ত এলাকা। সেখানে পাকা রাস্তা, বিদ্যুত ও মোবাইল কভারেজের ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধারকাজে আরও সমস্যা হচ্ছে। ভূমিকম্পের ফলে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভোরবেলা পর্যন্ত কোনও আলো ছাড়াই কাজ করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এক সিনিয়র স্বাস্থ্যকর্মীর কথায়, 'আমরা ইলেকট্রিসিটি ছাড়াই টর্চ আর মোবাইলের আলো জ্বেলে কাজ করছিলাম।' তিনি আরও বলেন, 'বেশিরভাগ আহতরাই আসছিলেন ভাঙা হাড় নিয়ে। বহু মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।'
স্থানীয় বাসিন্দারাই আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।