চিত্তুর(অন্ধ্রপ্রদেশ) : ভয়ঙ্কর ! মেয়ের বন্ধুকে খুন করে তার সারা শরীর টুকরো টুকরো করে কাটল এক ব্যক্তি। শুক্রবার সকালে পুলিশ সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার পালামানের মণ্ডলের পেঙ্গারাগুন্টা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুবকের।
পালামানের SDPO সি এম গাঙ্গাইয়া সংবাদ সংস্থা ANI-কে জানিয়েছেন, গত ২২ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন ধনশেখর(২৪) নামে ওই যুবক। প্রাথমিকভাবে তাঁর বাবা-মা খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ পাননি। পরে ২৬ মে তাঁরা পালামানেরু থানায় মিসিং কেস করেন।
তিনি আরও জানান, মিসিং কেস হওয়ার পর ওই যুবকের খোঁজ শুরু হয়। পুলিশ তাঁর কল লিস্ট খতিয়ে দেখে। শেষ কল ডিটেলস পাওয়া যায়। তা থেকে পুলিশ জানতে পারে, গ্রামে বাবু নামে কারও বাড়ি গিয়েছিলেন ওই যুবক। পুলিশি তদন্তে অভিযুক্ত বাবু স্বীকার করেছে, সে-ই ওই যুবককে খুন করেছে।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, ২২ মে রাতে বাবু মাঠে গিয়েছিল সেখানে রাতে থাকতে। কিন্তু, কোনও কারণে সে বাড়ি ফিরে আসে। মেয়ের ঘর থেকে কিছু শব্দ শুনতে পায়। বাবু সেখানে ঢুকে ধনশেখরকে দেখে। এরপর রাগের বশে সে ধনশেখরকে পিটিয়ে খুন করে। পরে বাবু মৃতদেহটি নিজের মাঠের কুয়োয় ফেলে দেয়। দুই দিন পর মৃতদেহটি কুয়োর জলে ভেসে ওঠে। তখন বাবু দেহটি তুলে সেটিকে টুকরো টুকরো করে কাটে। পরে তা নিজের মাঠের কাছে এক জায়গায় মাটি চাপা দিয়ে দেয়।
SDPO আরও জানিয়েছেন, বাবুর স্বীকারোক্তির পর পুলিশ আজ সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর তা ধনশেখরের বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পরে মিসিং কেসটিকে খুনের মামলা হিসাবে রুজু করা হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত চলছ। এই ঘটনার পর ধনশেখরের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।