নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশে বেনজির কাণ্ড। এটার জালেসরের অন্তর্বর্তী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পদে বসেছেন এক পাকিস্তানি নাগরিক! ভারতীয় নাগরিককে বিয়ের সূত্রে দীর্ঘমেয়াদি ভিসার জোরে তিনি ভারতে বসবাস করছেন। কিন্তু তা বলে পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে বসা! কী করে এমন হল, জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এটার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই অপসারিত করা হয়েছে বানো বেগম নামে ৬৫ বছর বয়সি পাকিস্তানি মহিলাকে। কী করে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য় হিসাবে নির্বাচিত হয়ে অন্তর্বর্তী প্রধান পদে বসার জন্য় প্রয়োজনীয় আধার কার্ড ও অন্যান্য নথিপত্র জোগাড় করলেন, তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট সুখলাল ভারতী। একথা জানিয়েছেন জেলা পঞ্চায়েতি রাজ অফিসার অলোক প্রিয়দর্শী। বেগম এটার বাসিন্দা আখতার আলিকে বিয়ে করে প্রায় ৪০ বছর আগে করাচি থেকে এদেশে আসেন। বারংবার ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করেন তিনি।


প্রিয়দর্শী বলেন, ২০১৫-র স্থানীয় পুরভোটে বানো বেগম গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য  নির্বাচিত হন। এছরের ৯ জানুয়ারি গ্রাম প্রধান শেহনাজ বেগম মারা গেলে বানো বেগমকে অন্তর্বর্তী প্রধান হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়।

জনৈক স্থানীয় বাসিন্দাই প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করেন, বেগম পাকিস্তানি নাগরিক, তাঁর গ্রাম পঞ্চায়েত হিসাবে কাজ চালানোর কোনও আইনি বৈধতাই নেই।

ম্যাজিস্ট্রেট  ভারতী বানো বেগমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতেও  নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।