কলকাতা: করোনার মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ছত্রাকজনিত রোগ এই রোগে আক্রান্ত কলকাতারই এক বাসিন্দা। সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের নার্সিংহোমে চলছে চিকিৎসা। চিকিৎসকদের আশঙ্কা বাড়তে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা।
একা করোনায় রক্ষে নেই। দোসর মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সারা দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তার মধ্যে এবার চোখ রাঙাচ্ছে এই ছত্রাকজনিত রোগ। সিএমআরআই হাসপাতালে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা এক মহিলার। এবার কলকাতার বাসিন্দা এক ব্যক্তির শরীরে মিলল এই সংক্রমণ।
মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, কর্নাটকের মতো রাজ্যে হানা দিলেও, এবার উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাতেও। কলকাতার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বর্তমানে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি। কিছুদিন আগে তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৬ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই মাড়ি ফুলে যায়, শুরু হয় ব্যথা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, মিউকোরমাইকোসিস আসলে ছত্রাকজনিত রোগ। যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে, HIV বা ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত, নিয়মিত স্টেরয়েড নেন বা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকার কারণে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাঁরাই মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হতে পারেন। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয় amphotericin b ইনজেকশন। এর আগে বাংলায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত চারজন রোগীর সন্ধান মিললেও তাঁরা কেউই এ রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন না। এবার এরাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমণের সন্ধান মেলায় বাড়ছে আতঙ্ক।
চিকিৎসক স্বাগত চৌধুরী বলেন, এই ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, সুগারটা কন্ট্রোলে রাখা প্রয়োজন। তিনি ডায়বেটিক হোক বা না হোক। ডায়বেটিকের আশঙ্কা বেশি। কিন্তু নন-ডায়বেটিকদের স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন পেয়ে সংক্রমিত হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।