মুম্বই: প্রবল বৃষ্টিতে মুম্বইয়ের মালাড পশ্চিমে ভেঙে পড়ল বাড়ি। ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন। গতকাল রাত সোয়া ১১টা নাগাদ তিনতলা আবাসনের একাংশ ভেঙে পড়ে। শিশু, মহিলা-সহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান।দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পাশের আরও একটি আবাসনের অবস্থাও বিপজ্জনক।
বুধবার গভীর রাতে মালাড পশ্চিমে নিউ কালেক্টর কমপাউন্ডে ওই বাড়ি ভেঙে পড়ে। উদ্ধারকারীরা মহিলা ও শিশু সহ ১৫ জনকে ভেঙে পড়া ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনায় জখম সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহন্মুম্বই পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই বাড়ির সংলগ্ন অন্য একটি বাড়িতেও এর প্রভাব পড়ে। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিকটবর্তী তিনটি বাড়ির বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়। কারণ, এই বাড়িগুলির অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়।
মুম্বইয়ের জোন ১১ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিশাল ঠাকুর জানিয়েছেন, ধ্বংস্তস্তুপে আরও কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধার অভিযানের জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছে উদ্ধারকারী দল।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আসলাম শেখ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি জানান, প্রবল বর্ষণের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহতদের বিডিবিএ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার মুম্বই ও শহরতলিতে প্রবল বর্ষণ হয়। এরফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাট ও রেললাইনে জল জমে যায়। ফলে বাস ও শহরতলির ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়।
যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তারমধ্যে আটজন একই পরিবারের। ওই পরিবারের সদস্য মহম্মদ রফি দুর্ঘটনার আগে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে বেরিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখলেন, পরিবারের অন্যরা আর নেই।
মহম্মদ রফি বলেছেন, প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি দুধ আনতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখলাম সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা পরিবারে নয়জন ছিলাম। আমার স্ত্রী, ভাই ও ছয়জন শিশু ছিল। বাড়ির অবস্থা তো ভালো ছিল। বাড়ির অবস্থা খারাপ জানতে পারলে দ্রুত খালি করে দিতাম। আচমকাই সব কিছু হয়ে গেল।