তিরুঅনন্তপুরম: কেরল পুলিশের বাধায় শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে পারল না তামিলনাড়ুর এক ১২ বছরের মেয়ে। অনলাইনে শবরীমালা দর্শনে বুকিংয়ের সময় তার বয়স উল্লেখ করা হয়েছিল ১০। কিন্তু আজ পাম্বা বেস ক্যাম্প থেকে মন্দিরের দিকে এগনোর সময় মহিলা পুলিশ তার আধার কার্ড দেখতে চায়। তখনই বেরিয়ে পড়ে, আসলে মেয়েটির বয়স ১২। ফলে তার পরিবারের বাকি সদস্যরা মন্দির দর্শনে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেলেও মেয়েটিকে বেস ক্যাম্পেই আটকে দেওয়া হয়। বাবা, আরও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তামিলনাড়ুর বেলুর থেকে এসেছিল সে।
এবছর শবরীমালায় দেবতা আয়াপ্পার মন্দিরের দরজা তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলেছে গত শনিবার। ৪১ দিন ধরে চলবে যাত্রা। পাম্বায় প্রায় ১০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। সব মহিলা যাত্রীর বয়সের প্রমাণের নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখে মহিলা পুলিশ অনুমতি দিলেই মন্দিরের রাস্তায় এগনো যাচ্ছে। গত শনিবারই মন্দিরে প্রবেশে ইচ্ছুক ১০ মহিলাকে পাম্বা থেকে ফেরত্ পাঠিয়ে দেওয়ার দাবি করে পুলিশ, তারা ‘নিষিদ্ধ’ বয়সসীমার মধ্যে পড়ায়।
কেরলের এই নামী মন্দিরের ঐতিহ্যমাফিক বরাবর সেখানে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সসীমার মেয়েদের ঢোকা নিষিদ্ধ। গত বছর শবরীমালায় সব বয়সের মেয়েদের প্রবেশের দাবিতে সর্বোচ্চ আদালত সিলমোহর দিলেও মন্দিরের ঐতিহ্য, রীতিতে আস্থাবান ভক্তরা তার বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। গত সপ্তাহে ৩-২ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছর সু্প্রিম কোর্টের প্রথম রায় কার্যকর করতে সক্রিয় হয় কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। ঋতুমতী মেয়েদের শবরীমালায় প্রবেশে পুলিশি সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। এবার শীর্ষ আদালত ২০১৮-র সেপ্টেম্বরের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। কিন্তু আগের অবস্থান বদলে কেরলের বাম সরকার এবার বলেছে, মন্দির সমাজকর্মীদের সক্রিয়তা দেখানোর জায়গা নয়। প্রচার পাওয়ার লোভে যে মহিলারা মন্দিরে ঢুকতে চায়, তাদের উত্সাহ, সহায়তা দেওয়া হবে না। মন্দির সংক্রান্ত বিষয়ক মন্ত্রী কাদাকামপল্লী সুরেন্দ্রন বলেন, সরকার শুধু শান্তি চায়। মন্দিরে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা চাই।