নয়াদিল্লি: অবশেষে শেষ হল অযোধ্যা মামলার শুনানি। ১৭ নভেম্বরের মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা। প্রায় ১৩৪ বছর ধরে চলছে অযোধ্যা নিয়ে আইনি লড়াই।
১৮৮৫ সালে ফৈজাবাদের জেলা আদালতে, রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদের বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে শামিয়ানা তৈরি করে রামলালার মূর্তি স্থাপনের আবেদন জানান মহন্ত রঘুবীর দাস। আর্জি খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ আদালত।
১৯৫০ সালে ফৈজাবাদ আদালতে মামলা করে বিতর্কিত স্থানে রামলালার পুজোর অনুমতি চান দুই ব্যক্তি।
১৯৫৯ সালে বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে নির্মোহী আখড়া।
১৯৮১ সালে বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয় উত্তরপ্রদেশের সেন্ট্রাল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
১৯৮৬ সালে বিতর্কিত কাঠামোর দরজা পুজোর জন্য খুলে দিতে নির্দেশ দেয় ফৈজাবাদ আদালত।
১৯৮৯ সালে বিতর্কিত জমিতে স্থিতবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয় ইলাহাবাদ আদালত।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়।
১৯৯৩ সালে সংসদে আইন পাস করে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির দখল নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১০ সালে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে রায় দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, জমির তিনভাগ করে রাম লালা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড , এবং নির্মোহী আখড়ার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হোক। কিন্তু, এই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় তিন পক্ষই। ২০১১ সালে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৭ সালে ৭ অগাস্ট অযোধ্যা মামলার শুনানির জন্য ৩ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের বেঞ্চে নতুন করে মামলার শুনানি শুরু হয়।
২০১৮ সালের ২৯ অগাস্ট নতুন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে ফের নতুন করে তিন সদস্যের বেঞ্চ গঠত হয়। ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে নতুন করে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ তৈরি হয়।
৬ অগাস্ট থেকে প্রতিদিন অযোধ্যা মামলার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। ১৬ অক্টোবর অবশেষে শেষ হল শুনানি। এবার রায়ের অপেক্ষা।