নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ব্রিকস্ সম্মেলনে প্রত্যাশিতভাবেই উঠল আফগানিস্তান ইস্যু। নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। হিংসা এড়িয়ে এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ভারত। কাবুল বিমানবন্দরে আইএস খোরাসানের আত্মঘাতী হামলার কঠোর নিন্দা করেছে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সকলের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে ভারতের বার্তা, জঙ্গি সংগঠনগুলি যাতে আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে অন্য দেশে নাশকতা না চালাতে পারে, সে দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। ব্রিকসের মঞ্চে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির জন্য আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিন ব্রিকস্ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসানারো, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফসা। তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূলত আফগানিস্তান এবং তালিবান নিয়েই আলোচনা করেন।
ভারতই ব্রিকস্ সম্মেলনের এবারের পর্বের থিম ঠিক করেছিল। ব্রিকস্ গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা, সংহতি ও ঐকমত্য গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনার কথা বলেছিল ভারত। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, সহযোগী দেশগুলির কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে ভারত। তিনি এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
এরপর মোদি বলেন, ‘প্রযুক্তির সাহায্যে চিকিৎসা পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ বছরের নভেম্বরে আমাদের জলসম্পদ মন্ত্রী প্রথমবার ব্রিকস্ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই প্রথমবার ব্রিকস্ গোষ্ঠী যৌথভাবে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সংস্কার এবং এই ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতাবস্থার পক্ষে মস্কো। দেশ ছেড়ে আফগানদের চলে যাওয়া ঠেকাতে হবে। রাশিয়া চায়, আফগানিস্তানের নাগরিকরা নিজেদের দেশে শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে থাকুন।’
চিনের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও তালিবান প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যই করেননি। তিনি এ বিষয়ে আলোচনার সময় নীরব থাকেন। যদিও আন্তর্জাতিক স্তরে ব্রিকস্ গোষ্ঠীর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন জিনপিং।