নয়াদিল্লি: ১৫ মাসের আন্দোলন শেষে আজ থেকে ঘরে ফিরছেন কৃষকরা (Farmers)। দিল্লিতে (New Delhi) বিজয়োল্লাস। সোনিপথে আস্তানা গোটানোর কাজ শুরু। পাশাপাশি, দেশজুড়ে বিজয় উত্সব পালনের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। বিতর্কিত কৃষি আইনের (Farm Laws) বিরোধিতায় গত একবছর ধরে দিল্লি সংলগ্ন গাজিপুর, টিকরি এবং সিঙ্ঘু সীমানায় চলছিল কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ।


প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর, সংসদে পাস হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। পাশাপাশি, কেন্দ্রের তরফে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য-সহ (Minimum Support Price) একাধিক দাবি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন ও কৃষকদের বিরুদ্ধে যাবতীয় মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি মেলে। এরপরই কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Samyukt Kisan Morcha) ।


গত ১৯ নভেম্বর, বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদে তা পাসও হয়েছে। তারপরেও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে জানানো হয়, MSP বা ফসলের ন্যূনতম সহায়কমূল্য সুনিশ্চিত করার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অবশেষে কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস মেলার পর, এক বছরের উপর চালিয়ে আসা বিক্ষোভ থেকে সরে এলেন কৃষকরা।


আন্দোলন প্রত্যাহার করা হল দিল্লি সংলগ্ন গাজিপুর, টিকরি, সিঙ্ঘু সীমানায়। বৃহস্পতিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, MSP নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রী একটি কমিটি তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। যে কমিটিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং কৃষি বিজ্ঞানীরা থাকবেন। একথা স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে যে, কৃষক প্রতিনিধিদের মধ্যে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (Samyukt Kisan Morcha) প্রতিনিধিরা থাকবেন। এর সঙ্গে কেন্দ্রের চিঠিতে জানানো হয়, কমিটির লক্ষ্য হবে দেশের কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়কমূল্য পাওয়া সুনিশ্চিত করা। 


এরপরই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সেখানে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারী কৃষকদের বকেয়া দাবিগুলি মেনে নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কৃষিমন্ত্রক। দিল্লি সীমানায় বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ও অন্যান্য জায়গা থেকে আন্দোলন তুলে নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ-আন্দোলন তুলে নেওয়া হলেও, কৃষকদের অধিকার রক্ষা এবং বিশেষ করে তাঁরা যাতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান, তার জন্য লড়াই চলবে। এর সঙ্গে সঙ্গে ৭১৫ জন কৃষকের মৃত্যুর প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও পড়ুন: Omicron: মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন দাপট, আজ থেকে মুম্বইয়ে জারি ১৪৪ ধারা