চণ্ডীগড়: কৃষি আইন প্রত্যাহার করার দাবি কেন্দ্র মানতে রাজি নয়। উল্টোদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই আইনে আদানি, অম্বানিদের মত কর্পোরেট সংস্থাগুলো উপকৃত হবে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবের কৃষকদের রাগ গিয়ে পড়েছে মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্স জিওর ওপর। রাজ্যে জিওর ১,৫০০-এর বেশি মোবাইল টাওয়ার তাঁরা ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ এ ব্যাপারে কড়া হুমকি দিয়েছেন ভাঙচুরে যোগদানকারীদের।

পঞ্জাবে ৯,০০০ রিলায়েন্স জিও টাওয়ার রয়েছে। তার মধ্যে ১,৫০০-এর বেশি টাওয়ার ভাঙচুরের জেরে অচল হয়ে পড়েছে। জিওর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তাঁদের টাওয়ারে যেভাবে ভাঙচুর চলেছে, বিদ্যুৎ কেটে দেওয়া হয়েছে, এমনকী জেনারেটর চুরি করা হয়েছে তাতে ঠিকমত পরিষেবা দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

কিন্তু এই বিশৃঙ্খলা কোনও মতেই বরদাস্ত করবেন না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অমরিন্দর সিংহ বিক্ষুব্ধদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে। পঞ্জাবকে নৈরাজ্যে ডুবে যেতে তিনি দেবেন না, কোনও সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি মেনে নেওয়া হবে না কোনওমতেই। রাজ্যে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলনে তাঁর সরকারের আপত্তি নেই বলে জানয়ে অমরিন্দর বলেছেন, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি ও সধারণ মানুষের অসুবিধে সৃষ্টি বরদাস্ত করবেন না তাঁরা। এ ধরনের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

গত এক সপ্তাহ ধরে কৃষকরা তাঁদের রাগ উগরে দিচ্ছেন রিলায়েন্সের ওপর। জলন্ধরে জিওর বেশ কয়েক বান্ডিল ফাইবার কেবল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জিওর কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করার ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে সর্বত্র। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য পুলিশ। কিন্তু সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা যেভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতি করছেন তাতে পড়ুয়ারা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, বিশেষ করে সঙ্কটে পড়েছেন যাঁরা বোর্ড পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছেন তাঁরা এবং করোনার জেরে যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন সেই সব চাকরিজীবীরা। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও এখন বেশিরভাগ অনলাইন, সেই পরিষেবাও এই ভাঙচুরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।