রোহতক: হরিয়ানার রোহতকে ১৮ বছরের এক তরুণী এবং তাঁর পাহারায় নিযুক্ত এক পুলিশকর্মীকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করল তিন বাইক আরোহী অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। গতকাল এই ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সম্মানরক্ষায় এই হত্যাকাণ্ড (অনার কিলিং) বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিয়ের সময় তাঁর বয়স কত ছিল, এই বিষয়ে রোহতকের আদালতে শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন ওই তরুণী। এরপর আদালত থেকে ফেরার পথে ওই নৃশংস ঘটনা ঘটে। তরুণীর প্রহরায় নিযুক্ত ছিলেন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর নরেন্দর কুমার এবং এক মহিলা কনস্টেবল।
তাঁরা যখন ফিরছিলেন, তখন তিন বাইক আরোহী দুষ্কৃতী ওই তরুণী এবং পুলিশ অফিসারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মহিলা কনস্টেবল কোনওক্রমে প্রাণরক্ষা করতে সক্ষম হন।
রোহতকের পুলিশ সুপার জশনদীপ সিংহ রানধাওয়া বলেছেন, বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণী। এরপর বাবা-মা ওই তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল।
রানধাওয়া আরও বলেছেন, নিহত তরুণীর শাশুড়ি আততায়ীদের শনাক্তকরণের বিষয়ে কিছু সূত্র দিয়েছেন।
জাঠ সম্প্রদায়ের এই তরুণী গত বছর এক দলিত তরুণের সঙ্গে পালিয়ে যান। ওই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭। তরুণীর বাবা রোহতক থানায় তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
ওই তরুণ দাবি করেন যে, তিনি যাঁকে বিয়ে করেছেন তিনি প্রাপ্তবয়স্ক। এই দাবির পক্ষে তিনি কিছু ভুয়ো নথি জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে আসল শংসাপত্র জমা দিয়ে দাবি করা হয় যে, বিয়ের সময় তরুণী নাবালিকা ছিলেন। এরপর তরুণকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। পুলিশ ওই তরুণীকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে বলেছিল। কিন্তু তিনি সেখানে যেতে অস্বীকার করায় তাঁকে কার্নালে নারী নিকেতনে পাঠানো হয়েছিল।