নয়াদিল্লি: ২০১২-য় নির্ভয়াকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল সারা দেশকে। নৃশংস অপরাধের কঠিনতম শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল গোটা দেশ। নির্ভয়ার অপরাধীরা এখন মৃত্যুদণ্ডের দিন গুনছে। কিন্তু ২০১৩য় গাঁধীনগরে ঘটে যাওয়া নাবালিকার গণধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হল দুজন, ঘটনার ৭ বছর পর। ৩০ জানুয়ারি দিল্লি আদালত দুই অপরাধীর শাস্তি ঘোষণা করবে।
২০১৩ সালের এপ্রিলে গাঁধীনগরে মাত্র ৫ বছরের বালিকাকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। পরে যখন মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়, তার যৌনাঙ্গের মধ্যে মেলে প্লাস্টিকের বোতল, মোমবাতি। এই ঘটনা পরবর্তীতে গুড়িয়া গণধর্ষণ কাণ্ড বলে সংবাদমাধ্যমে প্রচার পায়।
নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির সাজার চূড়ান্ত দিন ঘোষণার পরদিনই  মনোজ শাহ ও প্রদীপ কুমার নামে দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আদালত এই মামলার শুনানি করতে গিয়ে দোষীদের ভর্ৎসনা করে বলে, আমাদের দেশে বাচ্চা মেয়েদের দেবীরূপে পুজো করা হয়। আর এই ঘটনায় নির্যাতিতার বয়স মাত্র ৫। এই নৃশংসতা চূড়ান্ত অবমাননাকর ও পৈশাচিক।
এই ঘটনায় দুই অপরাধীর ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন পকসো আইন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ ইত্যাদি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছে, মেয়েটি যেখানে থাকত, সেই বাড়িতেই ভাড়া থাকত ওই দুষ্কৃতীরা। সে বাইরে খেলা করার সময়ই মনোজ শাহ ও প্রদীপ কুমার মেয়েটিকে ঘরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে। পরে তাকে ওই ঘরেই বন্ধ করে ফেলে যায়। ঘটনার ৪০ ঘন্টা পরে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পরে বিহারের দ্বারভাঙা ও মুজফ্ফরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই দুষ্কৃতীকে। দিল্লির আদালতের আদেশের পর কিছুটা স্বস্তিতে নির্যাতিতার পরিবার। গুড়িয়ার বাবা জানান,   “গত সাত বছর ধরে সমস্ত মামলা-মোকদ্দমা এবং আইন-আদালতের পর স্বস্তি এসেছে। আমরা এই ঘটনাটি নিয়ে ভাবতে চাই না। আমার মেয়ের কিছুই মনে নেই। ”
এখন নির্ভয়ার দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার পর গুড়িয়ার অপরাধীদের শাস্তি কী হয়, সেইদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।