ফারুককে গৃহবন্দি করা হয়েছে শ্রীনগরের বাসভবনে, ওমর আছেন রাজ্যের অতিথিশালায়। দুজনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রানা সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে মূল স্রোতের নেতাদের ছেড়ে দিতে হবে। ওঁরা দুজনেই শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ, চাঙ্গা রয়েছেন, যদিও রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ব্যথিত বলে জানান রানা।
কেন্দ্রের মোদি সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার, রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত এলাকায় বিভাজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর ৫০০-র ওপর রাজনৈতিক নেতা, কর্মীকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়। ওঁদের মধ্যে ফারুক, ওমর, আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও আছেন। কেন্দ্রের পদক্ষেপের পর রাজ্যে অশান্তি, বিক্ষোভ, হিংসা এড়াতেই এতজনকে আটক করা হয় বলে দাবি করে প্রশাসন। পাশাপাশি যোগাযোগ সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধও জারি করে প্রশাসন। যদিও গত সম্প্রতি জম্মুতে গৃহবন্দি নানা দলের একাধিক নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার প্রশাসন জানায়, এবার প্রত্যেকেরটা বিচার বিশ্লেষণ করে কাশ্মীরের আটক নেতাদেরও ধাপে ধাপে একে একে ছেড়ে দেওয়া হবে। রাজ্যপালের উপদেষ্টা ফারুক খান এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এক এক করে ওঁদের সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এনসি মুখপাত্র মদন মান্টু শনিবারই জানান, দলের জম্মুর নেতাদের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হওয়ার পরপর বুধবার সেখানকার শীর্ষ নেতা-কর্মীদের জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ফারুক, ওমরের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। নিজেদের দলের পাশাপাশি মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতাদেরও লাগাতার আটক রাখার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন মান্টু।