নয়াদিল্লি: ১৩ বছরেরও বেশি সময় পরে আজ গুজরাতের (Gujarat) আমদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় (Ahmedabad serial bomb blast case) রায়দান। দোষী সাব্যস্ত ৪৯ জনের সাজা ঘোষণা করবে বিশেষ আদালত।


২০০৮-এর ২৬ জুলাই একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আমদাবাদ। ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে ২০টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটে। এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৫৬ জন। বিস্ফোরণে আহত হন ২৪০ জনের বেশি। আমদাবাদের দু’টি সরকারি হাসপাতালের সামনেও বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।


এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী হরকত-উল-জিহান্দ-আল-ইসলামি। তদন্তে জানা যায়, শুধু আমদাবাদ নয়, সুরাতেও ৪০টির বেশি বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক ছিল জঙ্গিদের। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সেই ছক বানচাল হয়ে যায়। ধরা পড়ার পর সবরমতী জেলে মাটির নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালানোর ছক কষে কয়েকজন অভিযুক্ত। যদিও সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।


আমদাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত ৭৭ জনের মধ্যে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে গুজরাতের বিশেষ আদালত। বাকি ২৮ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়। এই মামলারই আজ রায়দান।


মঙ্গলবার এই মামলায় সওয়াল-জবাব শেষ হয়। এরপর বিশেষ আদালতের বিচারপতি এ আর পটেল জানান, ‘এই মামলায় সাজা দেওয়া নিয়ে শুনানি শেষ। ৪৯ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ২৮ জনকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সাজা ঘোষণা করা হবে।’


আদালত সূত্রে খবর, যে ৪৯ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তাদের ইউএপিএ আইনে মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। ইউএপিএ ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় সাজা দেওয়া হতে পারে দোষীদের।


২০০২-এ গুজরাত দাঙ্গার বদলা নিতেই আমদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে দাবি করে ধৃতরা। এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গুজরাত পুলিশ প্রথমে ৮৫ জনকে গ্রেফতার করে। তবে আদালতে শুনানি শুরু হয় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে। শেষপর্যন্ত সাজা দেওয়া হচ্ছে ৪৯ জনকে।