নয়াদিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত (Russia-Ukraine Border) থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা জানালেও, উত্তেজনার আঁচ কিছুতেই কমছে না। এই পরিস্থিতিতে সবপক্ষের কাছে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আর্জি জানাল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations Security Council) বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস ত্রিমূর্তি বলেছেন, ‘ভারত চায় এমন একটি সমাধানসূত্র বেরোক, যাতে অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো যায়। সব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকে। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও দেশেরই এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে উত্তেজনা বেড়ে যায়।’


রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনে ২০ হাজার ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী আছেন। ভারতীয়দের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’


রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত উত্তেজনার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কূটনীতিবদদের বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনের অভিযোগ, ‘রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা অনুযায়ী এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে, যাতে ইউক্রেন সরকারের উপর প্ররোচনার দায় চাপানো যায়। এই পরিস্থিতিতে কূটনীতিই উত্তেজনা কমানোর একমাত্র পথ। মিনস্ক চুক্তি কার্যকর করার মাধ্যমেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তৈরি হওয়া সঙ্কট এড়ানো সম্ভব। এই সঙ্কট রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি এবং বিশ্বের সব দেশকেই সরাসরি প্রভাবিত করছে। শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান দায়িত্ব।’


পাল্টা রাশিয়ার দাবি, ‘পশ্চিমের একমাত্র লক্ষ্য হল যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেওয়া।  যদি সেটা না হত, তাহলে পশ্চিমের অঙ্গুলি হেলনে চলা ইউক্রেন সরকার অনেকদিন আগেই মিনস্ক চুক্তি কার্যকর করতে বাধ্য হত। সেটা যখন হচ্ছে না, আমরা বলতেই পারি, পশ্চিম রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চায়।’


এদিকে, সীমান্তে ইউক্রেন সেনার সঙ্গে রুশ মদতপুষ্ট বিদ্রোহী বাহিনীর লাগাতার গোলা বিনিময় চলছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, বিদ্রোহী বাহিনীর ছোঁড়া গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি কিন্ডারগার্টেন। আহত হয়েছেন দু’জন শিক্ষক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়েছেন, কিন্ডারগার্টেনে গোলাবৃষ্টিকে হালকাভাবে নেবে না তাঁর দেশ। সব মিলিয়ে বাড়ছে বড়মাপের যুদ্ধের আশঙ্কা।