নয়াদিল্লি: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকা।আজ বিকেল ৪.৩১ টায় এই কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের উত্সস্থল ছিল পাকিস্তানের লাহোরের ১৭৩ কিমি দূরে। উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল এবং জম্মু ও কাশ্মীরে কম্পন অনুভূত হয়। প্রবল কম্পন অনুভূত হয় রাজধানী দিল্লি ও গুরুগ্রামেও। জানা গেছে,  ভারতে নয়াদিল্লি, চন্ডিগড়, কাশ্মীর এবং ইসলামাবাদ, লাহোর, খাইবার পাখতুন অঞ্চল সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়।




বেসরকারি ভূকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ভূকম্পের উত্সস্থল ছিল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। ভারতের কোনও এলাকায় ভূমিকম্পে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে পাক সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুয়ায়ী,  পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এই ভূমিকম্পে চার জনের প্রাণহানি হয়েছে। জখমের সংখ্যা ৭৬।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতে চন্ডিগড়, অমৃতসর ও শ্রীনগরের মতো উত্তর ভারতের বেশ কিছু একালায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, কম্পনের উত্সস্থল ছিল মাটির ৪০ কিলোমিটার গভীরে।
উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থান ও প্রতিবেশে দেশে আতঙ্কে বাড়িঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন লোকজন।
কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছে, উপত্যকায় এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বিস্তারিত খোঁজখবর করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, কম্পনের উত্সস্থল ছিল নিউ মীরপুর সিটির ৩ কিলোমিটার দূরে। মীরপুর সিটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মীরপুর জেলার সদর। এই শহরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় শহর।
পাক সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে রয়েছে মহিলা ও শিশু। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মীরপুরে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। আহতদের মীরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেরই ট্যুইটার ব্যবহারকারীরা ফাটল ধরা রাস্তা ও ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন।